শুক্রবার, ১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
কৃষি

বগুড়ায় গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্ল্যাক বস তরমুজ

আব্দুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়ায় গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্ল্যাক বস তরমুজ

বগুড়ায় চাষ হচ্ছে তাইওয়ানের গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্ল্যাক বস জাতের তরমুজ। সোনালি রঙের তরমুজে শাজাহানপুর উপজেলার পালাহার গ্রামের মাঠে দেখা দিয়েছে অপরূপ সৌন্দর্য। বিদেশি জাতের তরমুজ চাষের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে প্রতিদিন সেখানে ভিড় করছেন কৌতূহলী মানুষ, শুনছেন তরমুজ চাষের কৌশল। কেউ কেউ তরমুজ কিনছেনও। জানা যায়, বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার পালাহার দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিম আলীর পুত্র রুহুল আমিন (৪০) এবং শহরের কলোনি এলাকার বাসিন্দা গোলাম আযম হেলালীর পুত্র সালেহ আহমেদ (২৭) কৃষি খামার গড়ার উদ্যোগ নেন। জমি প্রস্তুতের সময় সাথী ফসল হিসেবে ৫ বিঘা জমিতে তাইওয়ানের গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্ল্যাক বস জাতের তরমুজ চাষ করেন।

বীজ বপনের ৭৫ দিনের মাথায় খামারে ঝুলতে থাকে সোনালি রঙের গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্ল্যাক বস তরমুজ।

রুহুল আমিন উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর সিঙ্গাপুরে সাত বছর চাকরি করেন। দেশে ফিরে ফসলি জমি পত্তন দিয়েই চলছিল তার সংসার। অপরদিকে সালেহ আহমেদ একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (টেক্সটাইল) শেষ সেমিস্টারে অধ্যয়নরত। দুজনে পাঁচ বিঘা জমি পত্তন নিয়ে তাতে আম, কমলা, মাল্টা, শরিফা, পেয়ারা, লেবু চাষের জন্য মাচা তৈরি করেন। কিন্তু মাচা প্রস্তুত হতে যে সময় লাগবে তাতে স্বল্প সময়ের কোনো ফসল ফলানো যায় কিনা এটা নিয়ে ভাবতে গিয়ে তারা তাইওয়ানের গোল্ডেন ক্রাউন ও ব্ল্যাক বস জাতের তরমুজ চাষ করেন। সাথী ফসল হিসেবে লাগানো এই তরমুজের বাম্পার ফলনে ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া পড়েছে। বর্তমান বাজারে মান অনুযায়ী ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে একেকটি তরমুজ। প্রতিটির ওজন ৩ থেকে ৫ কেজি। খেতেও সুস্বাদু।

শাজাহানপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম জানিয়েছেন, গোল্ডেন ক্রাউন এবং ব্ল্যাক বস তরমুজ অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সুস্বাদু ফল। সাধারণত উঁচু জমি এবং দোআঁশ মাটি এই তরমুজ চাষের জন্য উপযুক্ত। আমাদের দেশে দক্ষিণাঞ্চলে এই তরমুজের চাষ শুরু হয়েছে। বগুড়াতে চাষ হলে এ অঞ্চলের মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যে এই তরমুজ কিনতে পারবেন। একই সঙ্গে বাজারে চাহিদা থাকায় এই তরমুজ চাষ করে চাষিরাও লাভবান হবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর