মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

নতুন কুঁড়িতে সবুজ চা বাগান

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

নতুন কুঁড়িতে সবুজ চা বাগান

একদিকে হাওর ও তিন দিকে পাহাড় বেষ্টিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় রয়েছে ৪৬টি চা বাগান। এসব বাগানের ভূপ্রকৃতি কোথাও উঁচু টিলা কোথাও সমতল আবার কোথাও খাড়া পাহাড়। উঁচু টিলা, সমতল আর খাড়া পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে চা গাছ। প্রতি বছর ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে বাগানের চা গাছ ছেঁটে দেওয়া হয়। আবার ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চে গাছে নতুন কুঁড়ি আসে। তখন সবুজ কুঁড়িতে ভরে ওঠে চা বাগান। তবে চলতি মৌসুমের শুরুতে তীব্র খড়ার কবলে পড়ে চা বাগান। তিন মাস চলে গেলেও চা গাছে নতুন কুঁড়ি বের হচ্ছিল না। খড়ার কবল থেকে চা গাছকে বাঁচাতে বাগানে সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও যেন গাছগুলোকে শতভাগ রক্ষা করা যাচ্ছিল না। তবে বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয় বৃষ্টি। কয়েক দিনের বৃষ্টিতেই নতুন কুঁড়ি আসতে থাকে চা গাছে। কয়েক দিনেই এ উপজেলার প্রতিটি চা বাগান পরিণত হয় সবুজের সমারোহে। যেদিকে চোখ যায় দেখা মেলে সবুজ নিঃসর্গের। বাংলাদেশ চা সংসদের সিলেট শাখার চেয়ারম্যান ও ফিনলে টি কোম্পানির জিএম গোলাম মোহাম্মদ শিবলী জানান, প্রথম দিকে খড়া তাদের ভাবনায় ফেলে দেয়। বৃষ্টিতে এখন নতুন পাতায় ভরে গেছে চা বাগান। এবার ১ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ১০৯ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই বৃষ্টি চা-শিল্পের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। কারণ তারা সেচের পানি দিয়ে আর কুলিয়ে উঠতে পারছিলেন না। এর কারণ হলো বাগানের নবীন চা গাছগুলোতে কয়েক দিন পর পর পানি দিতে হতো। তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রামণ প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা মেনেই তারা শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। বাগানে পানি ও সাবান রাখা হয়েছে শ্রমিকদের হাত ধোয়ার জন্য। কাঁচা চা পাতা ওজনের সময় শ্রমিকদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া শ্রমিক লাইনে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর