বুধবার, ৬ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
করোনায় সামাজিক সহিংসতা কেন

এটা নতুন ফেনোমেনন

-অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

এটা নতুন ফেনোমেনন

করোনা সংক্রমণের এই সময়ে চারপাশে যেভাবে সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা আমাদের জন্য একেবারেই নতুন ফেনোমেনন। মানুষতো কখনই এভাবে জীবনযাপন করে অভ্যস্ত নয়। এক সময় আমরা ভাবতাম যে ঘরে থাকলে মানুষের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন আরও ভালো হয় কিন্তু এখন যেহেতু করোনা পরিস্থিতি সবকিছুকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে আবার আমরা ঘরের মধ্যে থাকছি, বাইরে আসার কোনো সুযোগ নেই সে কারণে এর সরাসরি প্রভাব আমাদের মনস্তত্ত্বে পড়ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে গতকাল এসব কথা বলেন।

জিয়া রহমান বলেন, ঘরে একসঙ্গে অধিক সময় ধরে অবস্থানের কারণে  প্রতিটি বিষয় নিয়ে পরিবারের বিভিন্ন সদস্যসহ স্বামী-স্ত্রীর মুখোমুখি হতে হচ্ছে। আবার আমরা এখন যেভাবে জীবনযাপন করছি তার সাইকোলজিক্যাল প্রভাবও আছে। এর আগে আমরা এই ধরনের পরিস্থিতিতে কখনো পড়িনি।  আইসোলেশনে থাকলে তার একটি প্রভাব পড়ে আর এবারের আইসোলেশন ঘরের মধ্যেই যা আমাদের কাছে একেবারেই নতুন। তবে তাত্ত্বিক জায়গা থেকে দেখলে আধুনিক এই যুগে আমাদের যে ধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তাতে পারিবারিক সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনাও খুব বিচিত্র নয়। তবে এই অধ্যাপক বলেন, এই সময়ে সহিংসতার ঘটনা দূর করার কোনো রেডিমেট রেমেডি নেই। কিন্তু জীবন যেহেতু থেমে থাকে না এ জন্য আমাদের আশাহত হলেও চলবে না। এক্ষেত্রে কোনো পরিবারে যদি এ ধরনের পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে তাহলে যে ব্যক্তি এ বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝেন তাকে দায়িত্বের সঙ্গে বিষয়টিকে হ্যান্ডেল করতে হবে। পারিবারিক জীবন যেহেতু বোঝাপোড়ার একটি বিষয়, এখানে অনেক ছাড় ও বোঝাপড়ার পরেই পারিবারিক জীবন টিকে থাকে।

আর বোঝাপড়ার সমস্যা থেকে ঘটনা বিবাহ বিচ্ছেদে গিয়ে ঠেকে তবে করোনা সংক্রমণের সময়ে হওয়া পারিবারিক সহিংসতাকে সাধারণ সহিংসতার মতো মনে করলে চলবে না। পরিবারের সমঝোতার ব্যক্তিকেই এক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। কিন্তু এই পরিস্থিতি যদি দীর্ঘদিন ধরে চলে তাহলে বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করতে হবে। আর গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল থেকে এ ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে মানুষকে উপদেশ দেওয়াও তখন সহজ হবে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর