বেতন-ভাতার দাবিতে লকডাউন ভেঙে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির প্রধান ফটক ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন খনিতে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কর্মরত খনি শ্রমিকরা। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা খনিটির বাণিজ্যিক গেট ঘেরাও করে অবস্থান নেন এবং বিক্ষোভ করেন। আজ সকাল ৮টায় আবার কয়লাখনির ফটকে অবস্থান নিয়ে বকেয়া বেতন-ভাতার দাবি জানাবেন বলে জানান বড়পুকুরিয়া খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান। শ্রমিকরা জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ২৬ মার্চ থেকে তাদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। ছুটি দেওয়ার সময় সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ৬০ ভাগ বেতন দেওয়ার অঙ্গীকার করে খনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কোনো বেতন দেয়নি শ্রমিকদের। এখন শ্রমিকদের ঘরে খাবার নেই এ কারণে তারা লকডাউন ভেঙে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন। বড়পুকুরিয়া খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, শ্রমিকরা বেতন পেলে তারা ঘরে থাকতেন। কিন্তু এপ্রিল মাসের বেতন পাননি তারা। কবে পাবেন সে বিষয়ে কোনো কথা বলছে না কর্তৃপক্ষ। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা। খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের বকেয়া বোনাস ও বেতন দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে কয়েক দফা আবেদন করলেও কোনো সাড়া দেয়নি খনি কর্তৃপক্ষ। এ কারণে তারা করোনাভাইরাসের ভয়কে উপেক্ষা করে লকডাউন ভেঙে আন্দোলনে নেমেছেন। বেতন-ভাতা পরিশোধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনরত শ্রমিকরা খনির চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সএমসির অধীনে কর্মরত। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে তাদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার জন্য খনি কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জানিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করবে বলে তিনি জানান।