বুধবার, ৬ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
কৃষি

নওগাঁয় কাশ্মীরি ও বলসুন্দরী বরই

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

নওগাঁয় কাশ্মীরি ও বলসুন্দরী বরই

নওগাঁর পোরশায় উন্নত জাতের কাশ্মীরি ও বলসুন্দরী বরই চাষ করে সফলতা পেয়েছেন চাষিরা। ভালো ফলন ও দাম পেয়ে খুশি তারা। জেলায় এই প্রথম কাশ্মীরি ও বলসুন্দরী বরইয়ের সফল চাষ হওয়ায় অনেকেই এখন বাগানটি দেখতে যাচ্ছেন। আগামীতে এই বরইয়ের বাগান আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন চাষি ও কৃষি অফিস। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, নাতিশীতোষ্ণ ও উষ্ণমন্ডলীয় জলবায়ু বরই চাষের জন্য উপযোগী। এ উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে ১১৬ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের বরই চাষ হয়েছে। পোরশা উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের হাফিজুল ইসলাম গত বছর ইউটিউবে উন্নত জাতের কাশ্মীরি ও বলসুন্দরী বরইয়ের ওপর একটা প্রতিবেদন দেখে বরই চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। এরপর তিনি ৭ একর জমি ইজারা নিয়ে কাশ্মীরি ১৭৫০টি ও বলসুন্দরী ১৭৫০টি বরই গাছ রোপণ করেন। রোপণের তিন মাস পরই গাছে ফুল ধরতে শুরু করে। ফলন ভালো, দেখতে সুন্দর এবং খেতেও সুস্বাদু এ বরই। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের বরই বাগান তৈরিতে সহযোগিতা করা হলে আগামী বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। চাষি হাফিজুল ইসলাম বলেন, প্রতি বিঘা জমি ১২ হাজার টাকা হিসেবে ১২ বছরের জন্য ইজারা (লিজ) নেওয়া হয়। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে এবং প্রায় ২ লাখ টাকার মতো বরই বিক্রি হয়েছে। আরও দেড় লাখ টাকার মতো বিক্রি হবে। প্রতি মণ বরই ৩ হাজার ২০০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে। এ জাতের বরই ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সময়ের দিকে বাজারে উঠতে থাকে এবং মার্চের মাঝামাঝিতে শেষ হয়। বরই বিক্রি করতে তেমন সমস্যায় পড়তে হয়নি। বাগান থেকে পাইকাররা এসে নিয়ে যাচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামীতে এর দ্বিগুণ ফল আসবে। আগামী বছর ৩০ বিঘা জমিতে বরই রোপণ করা হবে।

পোরশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজ আলম বলেন, নাতিশীতোষ্ণ ও উষ্ণমন্ডলীয় জলবায়ু বরই চাষের জন্য উপযোগী। ভালো দাম পাওয়ার আশায় কৃষক এখন নতুন নতুন ফসল ও ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কাশ্মীরি ও বলসুন্দরী বরই চাষে ফলন বেশি ও দাম ভালো হওয়ায় কৃষকদের ওই জাতের বরই চাষে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আগামী বছর বরই চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর