বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

চার্টার্ড ফ্লাইটে ফিরছেন যুক্তরাষ্ট্রে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

যুক্তরাষ্ট্রে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা বিশেষ বিমানযোগে স্বদেশে ফিরছেন। কাতার এয়ারওয়েজের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ১৪ অথবা ১৫ মে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার শামীম আহমেদ এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা পৃথক পৃথকভাবে এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা দেশে ফিরতে উদগ্রিব তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। দুই শতাধিক বাংলাদেশি যোগাযোগ করেছেন এ পর্যন্ত। উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে ঢাকার একটি প্রথম শ্রেণির দৈনিকে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন ওয়াশিংটনে দূতাবাসকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। নিজেদের খরচেই তারা ফিরবেন। দূতাবাস ও কন্স্যুলেট শুধু সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। জানা গেছে, মাথাপিছু ২ হাজার ২০০ ডলার করে লাগবে ভাড়া বাবদ। ৮ মের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের নাম রেজিস্ট্রেশন ও টিকিট ক্রয় করতে হবে (‘ওরিক্স এভিয়েশন লি.’ ফোন +৮৮০১৭১৩০৯৪৬৬৪ অথবা ই-মেইল- [email protected])। জানা গেছে, দূতাবাস ও কন্স্যুলেটে এরই মধ্যে যারা যোগাযোগ করেছেন তাদের সবার তালিকা ‘ওরিক্স এভিয়েশন লি.’-কে দিয়েছে। বিশেষ ফ্লাইট ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ডালাস এয়ারপোর্ট অথবা নিউইয়র্কে জেএফকে এয়ারপোর্ট থেকে রওনা দেবে। ফ্লাইট ছাড়ার চূড়ান্ত সময়সূচি শিগগিরই সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

দূতাবাস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী ‘ওরিক্স এভিয়েশন লি.’ নামক একটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এই চার্টার্ড ফ্লাইটে ভ্রমণেচ্ছুক আটকে পড়া যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন ও টিকিট ইস্যু সংক্রান্ত বিষয়ে কাতার এয়ারওয়েজের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করছে। প্রেস মিনিস্টার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর ও অঙ্গরাজ্যে অবস্থানরত সব নিবন্ধিত ও টিকিট ক্রয়কৃত যাত্রীকে সম্পূর্ণ নিজ ব্যবস্থায়/যানবাহনে/অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে জেএফকে অথবা ডালাস এয়ারপোর্টে উপস্থিত হতে হবে। বিমানে ভ্রমণের জন্য প্রত্যেক যাত্রীকে নিজ দায়িত্বে অবশ্যই ‘কভিড-১৯ মুক্ত’ অথবা ‘কভিড-১৯ উপসর্গ-মুক্ত’ মর্মে ডাক্তারি সনদ সংগ্রহ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো হাসপাতাল অথবা চিকিৎসকের নিকট হতে এই সনদ সংগ্রহ করা যেতে পারে। এই সনদ বিমান যাত্রার ৭২ (বাহাত্তর) ঘণ্টার মধ্যে সংগৃহীত হতে হবে। কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা জানান, ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণের পর সব যাত্রীকে নিয়মমাফিক পুনরায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক বাধ্যতামূলকভাবে ২ (দুই) সপ্তাহ ‘প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন’ অথবা ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’-এ অবস্থান করতে হবে। কেবলমাত্র বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী এবং ক্ষেত্রবিশেষে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী পিতা-মাতার সফরসঙ্গী বিদেশি পাসপোর্টধারী সন্তানেরা এই বিশেষ ফ্লাইটে ভ্রমণের জন্য অগ্রাধিকার পাবেন।

সর্বশেষ খবর