বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

বসুন্ধরায় হাসপাতালে প্রক্রিয়াধীন জনবল নিয়োগ : পরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) আক্রান্তের চিকিৎসায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) নির্মিত হাসপাতালটি চালুর জন্য জনবল নিয়োগসহ অন্যান্য কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে এগুলো করা হচ্ছে। সবকিছু শেষ হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হাসপাতালটি উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করবে। গতকাল মোবাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন হাসপাতালে নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. এহসানুল হক। উল্লেখ্য, কভিড-১৯ বিপর্যয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সরকারের যত দিন ব্যবহারের প্রয়োজন শেষ না হবে তত দিন বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে আইসিসিবিকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে। গত মাসেই বসুন্ধরার কাছ থেকে আইসিসিবির সব স্থাপনা বুঝে নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপ দিতে ১২ এপ্রিল কাজ শুরু করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর (এইচইডি)। এদিকে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে কবে নাগাদ হাসপাতালটি চালু করা যেতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. এহসানুল হক বলেন, কবে নাগাদ শেষ হবে সেটা সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এখনো হাসপাতালে টুকটাক কিছু কাজ বাকি আছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্টটি এখনো বসানো হয়নি। হাসপাতাল শতভাগ প্রস্তুত হলে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে কবে চালু হবে। এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৪ মে হাসপাতালটি উদ্বোধনের তারিখ দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক হাসপাতাল হস্তান্তরের নথিপত্র প্রস্তুত করে আইসিসিবি কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর থেকে বলা হয়, হাসপাতাল প্রস্তুত। এখন স্বাস্থ্য অধিদফতর চাইলেই বুঝে নিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করতে পারে। গতকাল এইচইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমের কাছে হাসপাতালের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালে এখন চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা যায়। আসলে শতভাগ সম্পন্ন বলে কোনো কথা নেই। এতবড় স্থাপনায় সব সময়ই কিছু কাজ থাকবে। টুকটাক যে কাজ আছে তা দুয়েক দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এর আগের দিন গত মঙ্গলবার এইচইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান, হাসপাতালের শুধু ওয়াশিং প্লান্টটি বসানো বাকি। এটি বিদেশ থেকে আনার কথা ছিল। বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আনতে দেরি হচ্ছিল। এ জন্য আমরা সাতক্ষীরা থেকে একটা ওয়াশিং প্লান্ট এনেছি। ৭ মের মধ্যে এটা স্থাপন করে ১০ মে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেব যে, হাসপাতাল ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। এ ব্যাপারে আইসিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন বলেন, আমরা আইসিসিবির পক্ষ থেকে সবকিছু তাদেরকে আগেই বুঝিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়া যখন যে সহযোগিতা চেয়েছে, তা করেছি। এখন হাসপাতাল চালুর দায়িত্ব সরকারের। উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে সরকারকে আইসিসিবিতে পাঁচ হাজার শয্যার একটি সমন্বিত অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিলে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল পরিদর্শন করে হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। নানা হিসাব-নিকাশ শেষে সেখানে ২ হাজার ১৩ শয্যার হাসপাতাল ও ৭১ শয্যার আইসিইউ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। আইসিসিবির সুবিশাল চারটি কনভেনশন হল ও একটি এক্সপো ট্রেড সেন্টারে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ হাসপাতালটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে সরকারের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর।

সর্বশেষ খবর