বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

হলদেগাল টিটি মাঠের পাখি

আলম শাইন

হলদেগাল টিটি মাঠের পাখি

পাখির বাংলা নাম, ‘হলদেগাল টিটি’। ইংরেজি নাম, ‘ইয়েলো ওয়াটলড ল্যাপউইং (Yellow-wattled Lapwing)’। বৈজ্ঞানিক নাম, Vanellus malarbaricus । কেউ কেউ ‘হলুদ লতিকা হট্টিটি’ নামেও ডাকে। দেশে প্রায় পাঁচ প্রজাতির টিটি পাখি নজরে পড়ে। দুর্লভ আবাসিক পাখি এটি। দেশে যত্রতত্র নজরে পড়ে না। দুই দশক আগেও কম বেশি দেখা যেত। হালে ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় যৎসামান্য নজরে পড়ে, যা আমাদের জন্য মোটেও সুখবর নয়। বাংলাদেশ ছাড়াও এদের দেখা যায় উত্তর ও পূর্ব ভারত, পাকিস্তানের নিম্ন সিন্ধু, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায়। জলাশয় এলাকা এড়িয়ে চলে। শুকনো ভূমি বেশি পছন্দ। বিচরণ করে ছোট ঘেসো ভূমিতে। ফসল কাটার পরেও খেতে বিচরণরত দেখা যায়। জ্যোৎস্নারাতে এরা ছোট দলে শিকারে বের হয়। বিশেষকরে পূর্ণিমায় সারারাত পর্যন্ত মাঠপ্রান্তরে চষে বেড়ায়। শিকার ধরে দ্রুত হেঁটে হেঁটে। প্রজনন মৌসুমে জোড়ায় জোড়ায় থাকে। প্রজননের বাইরে ছোট দলে চলাফেরা করে। ডাকে ‘টিয়ি...ই...টিয়ি ই...’ সুরে।

প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ২৭ সেন্টিমিটার। ওজন ১১০ গ্রাম। মাথায় টুপি আকৃতির কালো পালক, দুই পাশে সরু সাদাটান। থুতনি কালো। গলা ধূসর-পাটকিলে। পিঠ বালি-পাটকিলে। বুক থেকে নিচের দিক সাদা। বুকের শেষ থেকে সাদা শুরু হওয়ার আগে রয়েছে সরু কালো লাইন। লেজ কালো। কপাল থেকে শরু হয়েছে ত্রিকোণ মাংসল লতিকা, যার পুরোটাই চকচকে হলুদ। ঠোঁটের অগ্রভাগ কালো, গোড়া হলদে-সবুজ। পা উজ্জ্বল হলুদ। স্ত্রী-পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম। প্রাপ্ত বয়স্কদের রং কিছুটা উজ্জ্বল।

প্রধান খাবার : ভূমিজ কীটপতঙ্গ। প্রজনন মৌসুম মার্চ থেকে আগস্ট। মাটির খোদলে বাসা বাঁধে। উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে শুকনো পাতা, গবাদি পশুর মল, মাটির ঢেলা ইত্যাদি। ডিম পাড়ে চারটি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ২৭-৩০ দিন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর