শুক্রবার, ৮ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

সাগরে ভাসা ২৮০ রোহিঙ্গার জায়গা ভাসানচরে

প্রতিদিন ডেস্ক

তিন সপ্তাহের বেশি সময় গভীর সমুদ্রে ভাসতে থাকা ২৮০ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধারের পর গতকাল ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে সাগরে ভাসা তিনশরও বেশি রোহিঙ্গাকে পাঠানো হলো নোয়াখালীতে জেগে ওঠা চরটিতে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রওনা হওয়া আড়াই শ রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলার গত বুধবার নৌবাহিনী আটক করে। এরপর গতকাল দিনের প্রথম ভাগে রোহিঙ্গারা যাত্রা করে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে।

গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র এবং কক্সবাজারের স্থানীয় সরকারি সূত্রগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মানবপাচারকারীদের কবলে পড়া আড়াই শ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার   বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, গত শনিবার যেমন ২৮ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধারের পর ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে, সব শেষ যাদের উদ্ধার করা হয়েছে এদেরও ভাসানচরে পাঠানো হচ্ছে। আমরা নতুন করে আর রোহিঙ্গাদের নেব না। তবে সাগরে কেউ না খেয়ে, বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে এটাও আমরা হতে দিতে পারি না। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশের জলসীমায় আটক ২৮০ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভাসানচরে যাত্রা করেছেন। কক্সবাজারের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের বহনকারী ট্রলার দুটি মালয়েশিয়ার উপকূলে ভিড়তে ব্যর্থ হওয়ার পর মানবপাচারকারীরা ২৩ এপ্রিল রোহিঙ্গাদের নিয়ে টেকনাফের বাহারছড়া দিয়ে বাংলাদেশের উপকূলে ঢুকে পড়তে চেয়েছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রোহিঙ্গাদের উপকূলে আসতে দেয়নি। পরে ট্রলার থেকে ডিঙ্গি নৌকায় চড়ে ৪১ জন রোহিঙ্গা মে মাসের ২ তারিখ কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া প্যারাবনে ভিড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২৯ জনকে উদ্ধার করে। বাকি ১২ জন পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত ২৮ রোহিঙ্গা এবং এক মানবপাচারকারীকে পরে কোস্টগার্ড ভাসানচরে নিয়ে যায়।

দুই ট্রলারে থাকা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশলেতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনকে চিঠি লিখেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জলসীমায় নেই। তাই এদের নেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা বাংলাদেশের নেই।

রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে প্রয়োজনে এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলো দায়িত্ব নিক।

 

সর্বশেষ খবর