শনিবার, ৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

শপিং নয়, অভাবীর মুখে খাবার দিন

-অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী

শপিং নয়, অভাবীর মুখে খাবার দিন

এবার ঈদে শপিং না করে সেই টাকা দিয়ে অভাবী মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে বিত্তশালী ও ধনীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরমাণু বিজ্ঞানী ও বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ অধ্যাপক  ড. এম শমশের আলী। দেশের বিশিষ্ট এই শিক্ষাবিদ জানান, তিনি নিজেও এবার ঈদের শপিংয়ের অর্থ অভাবী মানুষকে ত্রাণসহায়তা হিসেবে দেবেন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম শমশের আলী। তিনি বলেন, দেশের সাধারণ নিম্নআয়ের পরিবারের মানুষের কোনো আয় নেই। ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানে বিক্রি নেই। শ্রমজীবীদের হাতে কাজ নেই। করোনাভাইরাসের এই কঠিন দুর্যোগের সময় শ্রমহীন মানুষের মুখে দুই বেলা খাবার দিতে হবে। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য বলেন, ঈদ শপিংয়ের টাকা অসহায় মানুষকে দিলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন। কারণ এখন পোশাক নয়, মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন। সাধারণ নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের মধ্যে একেকজনের চাহিদা ও অভাব ভিন্ন রকম। প্রতি পরিবারেই নতুন পোশাক নিতে হয়। ছোট ছোট কোমলমতি বাচ্চাদের মুখে হাসি ফোটাতে ঈদে কাপড় কেনা হয়। কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষ প্রয়োজন ছাড়াও প্রচুর কাপড় কেনাকাটা করে থাকেন। আবার কোরবানির ঈদে কাপড় কেনার কথা নয়। এটা ত্যাগের জন্য। কিন্ত তখনও দেখছি প্রচুর কেনাকাটা হয়। দোকানিরা পসরা সাজিয়ে বসে থাকেন। শোরুমগুলোতে এমনভাবে পণ্য উপস্থাপন করা হয়, যেন মানুষ ভোগে-উপভোগে বাধ্য হবেনই। অধ্যাপক ড. এম শমশের আলী বলেন, ঈদে অতিরিক্ত পোশাক পণ্য বা জিনিসপত্র কোনাকাটা মোটেই জরুরি না। এই জিনিসপত্র কেনার আগে নিজে নিজেকে জিজ্ঞেস করতে হবে- এটা আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা বা সত্যি দরকার কিনা। এর মানে যা দরকার নেই, তা কেনার প্রয়োজন কী? কারণ, সমাজের একটা অংশের এখন নুন আনতে পানতা ফুরায়। তাই শপিং না করে অন্যের মুখে খাবার তুলে দিতে হবে।

সর্বশেষ খবর