শনিবার, ৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ঢাকামুখী মানুষের স্রোত ঘাটে ঘাটে

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকামুখী মানুষের স্রোত ঘাটে ঘাটে

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেই বিভিন্ন ফেরি ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিকল্প উপায়ে ঢাকা ফিরছে হাজার হাজার মানুষ। স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। শারীরিক দূরত্ব উপেক্ষা করেই গ্রামে যাওয়া মানুষ ঢাকায় ফিরছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো বাধা তাদের নিবৃত্ত করতে পারছে না।  

স্থানীয় প্রতিনিধিরা জানান, ঈদ উৎসবের মতো ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে। পরিবার-পরিজন নিয়ে যেন দীর্ঘদিনের ছুটি শেষে তারা ফিরছেন কর্মস্থলে। গতকাল শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষ আসছেন ফেরিতে করে। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে ফেরিতে দাঁড়িয়ে পার হচ্ছেন প্রমত্তা পদ্মা। এমনকি ফেরির দ্বিতীয় তলায় ওঠার সিড়িতে দাঁড়িয়েও পার হন তারা। ঘাটে ফেরি ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার তারা কে কার আগে নামবেন সে প্রতিযোগিতাও শুরু হয়। একজনের ওপর দিয়ে লাফিয়ে আরেকজন চলতে শুরু করেন। তবে বাস না পেয়ে এসব যাত্রী নসিমন-করিমন, অটোরিকশা, টেম্পো, ট্যাক্সি, মোটরসাইকেলে করে রওনা হন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের পথে। মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, দেখে মনে হচ্ছে তারা এখন আর করোনাভাইরাসকে ভয় পাচ্ছে না। টাকা-পয়সা কমে যাওয়ায় বা না থাকায় তারা এখন কাজকর্মে যোগ দিতে চাচ্ছেন হয়তো। তাই ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন আসছেন তারা। এদিকে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটেও ঢাকামুখী মানুষের ভিড় কমছে না। গতকাল সকাল থেকেই ঢাকামুখী মানুষের চাপ ছিল কাঁঠালবাড়ী ঘাটে। লঞ্চ স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতেই পার হচ্ছে যাত্রীরা। গতকালও দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া ঘাটে ব্যাপক ভিড় ছিল। পাশাপাশি কিছু সংখ্যক যানবাহন নিয়েও ফেরি পারাপার হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ী ঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুল আলিম বলেন, কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে ঘাটে চলমান ১৭টি ফেরির মধ্যে ৯টি ফেরির মাধ্যমে যাত্রী ও যানবাহন পার করানো হচ্ছে। সকাল থেকেই রাজধানীমুখী যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। গতকাল ভোর থেকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট দিয়ে হাজার হাজার মানুষ ফেরি পার হয়েছে। শারীরিক দূরত্ব মানার কোনো চেষ্টাই ছিল না দৌলতদিয়া ফেরিঘটের প্রবেশপথে এবং ফেরিতে। গতকাল সারাদিন দৌলতদিয়া ফেরিঘাট দিয়ে প্রায় চার হাজার মানুষ পার হয়েছে বলে ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিটিসির) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. আবু আবদুল্লাহ রনি বলেন, গত কয়েক দিন যাত্রীর চাপ কম ছিল। আগামী রবিবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণায় বেশ কিছু যাত্রী দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পার হয়েছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরির মধ্যে পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে।

সর্বশেষ খবর