শনিবার, ৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

সুবাস ছড়াচ্ছে রাজশাহীর আম

বাজারে আসছে ১৫ মের মধ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

সুবাস ছড়াচ্ছে রাজশাহীর আম

রাজশাহীতে আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অসময়ে আম সংগ্রহ বন্ধ রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৫ মে এর আগে কোনো আম নামানো যাবে না। ১৫ মে থেকে গুটিজাতের আম পাড়তে পারবেন চাষিরা। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্য জাতের আম নামানো যাবে। গতকাল জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চাষিরা গোপালভোগ আম নামাতে পারবেন ২০ মে থেকে। এ ছাড়া রানীপছন্দ ও লক্ষণভোগ বা লখনা ২৫ মে, হিমসাগর বা খিরসাপাত ২৮ মে, ল্যাংড়া ৬ জুন, আম্রপালি ১৫ জুন এবং ফজলি ১৫ জুন থেকে নামানো যাবে। সবার শেষে ১০ জুলাই থেকে নামবে আশ্বিনা এবং বারী আম-৪।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক। এর আগে গত ১১ জানুয়ারি এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক বলেছিলেন, মুজিববর্ষে রাজশাহীর বিষমুক্ত আম হবে জাতির জন্য উপহার। এ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রশাসক বলেছেন, অপরিপক্ব আম বাজারজাত ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন। সুষ্ঠুভাবে মনিটরিং করে নির্দিষ্ট সময়েই আম নামানো হবে। গেল কয়েক বছর ধরেই এভাবে আম পাড়ার সময় বেঁধে দিচ্ছে প্রশাসন। তবে এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আম বাজারজাত করা নিয়ে চাষিদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। তারা আম বিক্রি করতে পারবেন কি না সে চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। তাই অনেকটা অনাদরেই বাগানে বেড়ে উঠছে আম। এ অবস্থায় আম পাড়ার সময় বেঁধে দেওয়ায় চাষিরা আরও ক্ষতির শঙ্কা করছেন। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, কৃষিপণ্য লকডাউনের বাইরে থাকায় চাষিদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। তাছাড়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে কুরিয়ারে আম পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। ইতিমধ্যে সব উপজেলায় এ ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, অসময়ে আম পাড়া বন্ধে এবং ক্যালসিয়াম কার্বাইড, পিজিআর, ফরমালিন, ইথিফনের মতো কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে যেন আম পাকানো না হয়, তার জন্য নামানোর ক্ষেত্রে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং পুলিশ কঠোরভাবে মনিটরিং করবে। তবে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে কোথাও নির্ধারিত সময়ের আগে গাছে আম পাকলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে চাষিরা আম পাড়তে পারবেন। রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এবার ১৭ হাজার ৫৭৩ হেক্টর জমিতে আমের বাগান আছে। উৎপাদন ধরা হয়েছে দুই লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। গাছে ফলন মোটামুটি ভালো।

 

সর্বশেষ খবর