শনিবার, ৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

অপরিবর্তিত চাল ডাল কমেছে সবজি মাছ আদা রসুনের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

রমজান মাসের শুরুতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও বর্তমানে অনেক পণ্যের দাম কমেছে। কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে সবজির দাম। নিম্নমুখী দেখা গেছে মাছ ও মুরগির বাজার। বাজারে নতুন ইলিশের আগমনে কমেছে সব মাছের দাম। সবচেয়ে বেশি কমেছে আদার বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে মসলা জাতীয় এ পণ্যের দাম কমেছে ৫০ টাকা পর্যন্ত। একই সঙ্গে কমেছে রসুন ও পিয়াজের দাম। তবে চাল, ডাল, তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

গতকাল রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, শান্তিনগর, মালিবাগ, খিলগাঁও এলাকায় কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। দেখা গেছে, দাম কমে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, উস্তা ৪০ টাকা, গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বড় কচু ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা-ধন্দুল-ঝিঙা ৪০ টাকা, বেগুন (প্রকারভেদে) ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমে শসা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে, কেজিতে ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি ধনিয়াপাতা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, কেজিতে ৪০ টাকা কমে পুদিনাপাতা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। আর হালিতে ২০ টাকা কমে প্রতি হালি ছোট লেবু ১০ থেকে ১৫ টাকা, বড় সাইজের লেবু ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে গরু ও খাসির মাংসের দাম না কমলেও কমেছে মুরগির দাম। বাজারে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা, মহিষের মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, বকরি ৭৫০ টাকা কেজি দরে। পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে, কেজিতে ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি লেয়ার ২০০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি দরে। দাম কমেছে মাছেরও। ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমে বাজারে কাঁচকি ৩০০ টাকা কেজি দরে, মলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট পুঁটি (তাজা) ৫০০ টাকা, শিং (আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৪০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বাগদা ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা, হরিণা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কাতল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারে নতুন ইলিশের আগমনে দাম কমেছে ইলিশের। প্রতি এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকা, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০, ছোট ইলিশ আকারভেদে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে। রমজানের শুরুতে প্রতি কেজি আদা ৩০০ টাকা ছাড়িয়ে গেলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে। দাম কমেছে রসুন ও পিয়াজ বাজারেও। বর্তমানে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, চায়না রসুন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। বাজারে খোলা সয়াবিন (লাল) বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা লিটার, খোলা সাদা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা লিটার। অপরিবর্তিত রয়েছে সরিষার তেল। খোলা সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার। এসব বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, মিনিকেট পুরান ৬৫ টাকা, বাসমতী ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা, প্রতি কেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা, এক সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা, পাইজাম ৪২ টাকা, প্রতি কেজি পোলাও বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। বাজারে প্রতি কেজি ডাবরি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, অ্যাঙ্কর ৫০ টাকা, প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, মসুর (মোটা) ৯০ টাকা। দাম কমায় স্বস্তি এসেছে ক্রেতার মধ্যে। জয়নাল নামে শান্তিনগর কাঁচাবাজারের এক ক্রেতা বলেন, বর্তমানে সবজিসহ অন্য নিত্যপণ্যের দাম কমায় ভালো লাগছে। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ভালো হলে সবাই বাজারে এসে পণ্য কিনতে পারত। করোনাভাইরাসের কারণে অনেকে বাসা থেকে বের হচ্ছে না। পাশাপাশি অনেকের আয় কমেছে। তবে রমজানের শুরু থেকেই নিত্যপণ্যের দাম কম হওয়া উচিত ছিল।

সর্বশেষ খবর