রবিবার, ১০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় ফেরিঘাটে, যানবাহন না থাকায় ভোগান্তি

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় ফেরিঘাটে, যানবাহন না থাকায় ভোগান্তি

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে গতকাল ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে টানা ১৩ দিনের মতো গতকালও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকাগামী মানুষের ঢল নামে। আগামীকাল সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলছে এমন সংবাদে বাড়িতে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের মালিক-শ্রমিকরা কর্মস্থলে যোগ দিতে চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে ঢাকা ফিরছেন। করোনার প্রাদুর্ভাব উপেক্ষা করে কয়েক দিন ধরে শিমুলিয়া ঘাটে গার্মেন্টকর্মী ও ব্যবসায়ীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। এর আগে কর্মস্থলে যোগ দিতে গার্মেন্ট কর্মীরা গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে নেমে ছোটেন ঢাকার পথে। শনিবার সকাল থেকে রো-রো ফেরি শাহ পরান, ফেরি যমুনা ও ফেরি কাকলীর প্রতিটিতে চড়ে অন্তত দুই হাজার মানুষ পদ্মা পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে এসে পৌঁছায়। মার্কেট খুলে দেওয়ার ঘোষণার কারণে মানুষের চাপ বেড়েছে বলে জানা গেছে। রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, রবিবার সীমিত আকারে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দোকানপাট খোলার কারণে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা থেকে আসা যাত্রীর চাপও ছিল চোখে পড়ার মতো। মাগুরা থেকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আসা যাত্রী রেশমা বেগম বলেন, মানুষ কীভাবে আসবে সেই ব্যবস্থা না করে কারখানা ও দোকান খোলার সিদ্ধান্তের কারণে পথে পথে যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। তিনি বলেন, অতিরিক্ত ভাড়ায় ব্যাটারিচালিত অটোতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এসেছি। অন্য যাত্রীরা বলেন, জীবিকার কাছে জীবন বাজি রেখে ভোগান্তি স্বীকার করে ঢাকায় যেতে হচ্ছে। যাত্রীরা বলেন, দৌলতদিয়া আসা পর্যন্ত ব্যাটারিচালিত মাহেন্দ্র ও ইজিবাইকে করে ৭-৮ জন করে এখানে আসতে হয়েছে। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হয়নি। গণপরিবহন থাকলে সুবিধা হতো বলে জানান দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আসা এসব যাত্রী। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে অপেক্ষারত ট্রাকচালক আবদুল হান্নান অভিযোগ করে বলেন, ফেরিগুলো দৌলতদিয়া ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা দ্রুত ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। অনেক সময় ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করে ফেরিতে উঠতে হচ্ছে। ভোলা প্রতিনিধি জানান, ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে এসে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য আসা শ্রমজীবী মানুষকে। প্রতিদিনই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামগামী কর্মজীবী শত শত যাত্রী পারাপারের অপেক্ষায় ফেরিঘাটে এসে জড়ো হন। করোনা সংক্রমণ রোধে এসব যাত্রীদের মধ্যে কোনো ধরনের সতর্কতা কিংবা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি দেখা যায় না। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও তারা গন্তব্যে যেতে পারছেন না। তবে কেউ কেউ গোপনে ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স কিংবা কার্গোভ্যানে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেক্ষেত্রে তিন চারগুণ বেশি টাকা গুনতে হয়।

সর্বশেষ খবর