রবিবার, ১০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

বোটানিক্যাল গার্ডেনে বাহারি বকের ঝাঁক

মোস্তফা কাজল

বোটানিক্যাল গার্ডেনে বাহারি বকের ঝাঁক

অগণিত সাদা বকের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে রাজধানীর উপকণ্ঠের জাতীয় উদ্যান বোটানিক্যাল গার্ডেন। বাগানের মগডালে শোভা পাচ্ছে সাদা ধবধবে অসংখ্য বক। কাক-ভোরে শত শত বকের ডাকাডাকিতে মুখরিত হয় পুরো এলাকা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গার্ডেনে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ ২৫ মার্চ থেকে। এ সময় প্রকৃতির পরিবেশ বেশ শান্ত। গার্ডেনের পশ্চিম-দক্ষিণ অংশের বড় বড়  গাছে তাই এসব বকের অবস্থান। একটু দূরে তুরাগ নদ। ঝাঁক বেঁধে নীল আকাশে উড়ছে ধবধবে বক। আর এই প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে তুরাগ পাড়ে ভিড় জমায় পথচারীসহ শত শত মানুষ। জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বাংলাদেশে উদ্ভিদ প্রজাতি সংরক্ষণ, গবেষণা ও প্রদর্শনের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। উদ্যানটি ঢাকার মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানার পাশে অবস্থিত। ১৯৬১ সালে প্রায় ২০৮ একর জায়গাজুড়ে উদ্যানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর প্রায় ১৫ লাখ দর্শনার্থী উদ্যানটিতে বেড়াতে আসে। এ উদ্যানে বর্তমানে ১১৭টি গোত্রভুক্ত ৯৫২ প্রজাতির গাছপালা রয়েছে। এর মধ্যে ২৫৬ প্রজাতির ৩৫ হাজার বৃক্ষ, ৩১০ প্রজাতির ১০ হাজার গুল্ম, ৩৭৮ প্রজাতির ১২ হাজার লতাজাতীয় উদ্ভিদ। ২০৮ একর উদ্যানটি মোট ৫৭ সেকশনে বিভক্ত। এতে আছে বিভিন্ন আকারের মোট সাতটি জলাশয়। একটি জলাশয়ের পাশে রয়েছে কৃত্রিম জলপ্রপাত ও ডেক। একসময় শীতকালে বড় জলাশয়গুলোয় হাঁসজাতীয় পরিযায়ী পাখিরা আসত। এখন সেসব স্থানও বকের দখলে। বাগানের পরিচর্যাকারী মিলন মিয়া বলেন, ছয় প্রজাতির বক এক সপ্তাহ ধরে বাগানের বড় বড় গাছে বাস করছে। বক সাধারণত জলচর পাখি, ঠোঁট খুব সরু, গলা খুব চিকন, দীর্ঘ স্প্রিংয়ের মতো ছোট-বড়ও করতে পারে। বক সাধারণত বিল, নদী, জলাভূমি, মৌসুমি প্লাবনভূমি, ধান খেত, লবণ চাষের জমি, জোয়ার-ভাটার খাড়ি ও প্যারাবনে বিচরণ করে।

এ দেশে দেখা যায় ধুপনি বক, ধলাপেট বক, লালচে বক, চীনা কানি বক, দেশি কানি বক, খুদে বক, কালামাথা নিশি বক, মালয়ী বক, খয়রা বক ও হলদে বক। প্রতিটি বক দৈর্ঘ্যে ৬৩ সেন্টিমিটার লম্বা হয়, ওজন প্রায় ৩৯ গ্রাম। সাধারণত তিন থেকে পাঁচটি ডিম দেয়।

সর্বশেষ খবর