ঈদের কেনাকাটা না করে সেই অর্থ অসহায় ও কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে দিতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গতকাল তার সরকারি বাসভবনে এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এবার ঈদ এসেছে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে, ভিন্ন বাস্তবতায়। দেশ পার করছে সংকটকাল। এই পরিস্থিতিতে আমি আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ঈদের শপিং না করে এর অর্থ অসহায়, কর্মহীন জনগণের মধ্যে বণ্টনের আহ্বান জানাচ্ছি। এভাবেই আমরা এবারের ঈদ উদযাপন করতে চাই। চাই ত্যাগের মহিমায় নিজেদের অসহায় মানুষের সঙ্গে একাত্ম করতে। এর পাশাপাশি ঈদের কেনাকাটায় সংযম ও পরিমিতিবোধ রাখার জন্য বিত্তবান ও ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চর্চার ক্ষেত্রে জনগণকে আরও কঠোর হতে হবে বলে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে যারা ঘরে অবস্থান করছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন, তাদের জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ। মনোবল হারালে চলবে না আমাদের। মাস্ক পরিধান, হাত ধোয়া স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা, তা চর্চায় আমাদের আরও কঠোর হতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে উৎসবকেন্দ্রিক অর্থনীতির একটা প্রভাব আছে। সরকার শপিং মলে যাওয়ার বিষয়টি জনগণের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। তবে, সেক্ষেত্রে শপিং মলে যাওয়ার বিষয়টি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রশাসনের নজরদারিতে থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার না করে জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলতে চাই, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার না করে আপনি ও আপনার দল এ সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়ান। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মানবিক দায়িত্ব পালন করুন।

কাদের বলেন, করোনা যোদ্ধাদের প্রতি আমি আহ্বান করছি আপনারা দেশ ও জাতির আশার আলো, সম্মুখ সারির যোদ্ধা। আপনারা সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করুন। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুরক্ষায় শেখ হাসিনা সরকার পাশেই আছে। আপনাদের অদম্য মনোবল এবং জনগণের সাহযোগিতা নিয়ে আমরা এ সংকট থেকে বের হয়ে আসব ইনশা আল্লাহ।