এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রণোদনা হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই প্রণোদনার টাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পাবে না, যারা হকার, দোকানদার, কুটিরশিল্প, ফার্নিচার তৈরি করে। তারা কোনো প্রণোদনার ঋণ পাবে না। তাদের ব্যবসাও বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, আর্থিক প্রণোদনার আওতায় তাদের হাতে টাকা দিতে হবে। সেটা ভিন্ন কোনো পদ্ধতিতে হতে পারে। এ ছাড়া আমাদের একমাত্র রক্ষাকর্তা কৃষি খাত। এই খাতে বড় ধরনের সুবিধা দিতে হবে। সর্বোচ্চ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে লকডাউন খাতভিত্তিক শিথিল করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, লকডাউনের কারণে ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা খুব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হয়তো দুই মাস বন্ধ থাকার পর একসঙ্গে অনেক কাজ করতে পারবে। কিন্তু ছোট ব্যবসায়ীরা পারবে না। তাদের কীভাবে আর্থিক প্রণোদনায় অন্তর্ভুক্ত করা যায় সেটা ভাবতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত কৃষি। দেশের কমপক্ষে ৬০ শতাংশ মানুষ কৃষি খাতের সুবিধাপ্রাপ্ত। আমাদের জিডিপির আকারে কৃষি খাত বড় না হলেও মানুষের সম্পৃক্ততা বা আমাদের খাদ্য উৎপাদন প্রায় পুরোটাই কৃষি নির্ভরশীল। তাই এই খাতে উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে সরাসরি প্রণোদনা দিতে হবে। তিনি বলেন, আগামী ২/৩ বছর আমাদের অর্থনীতি নিম্নমুখী থাকবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি সহসা হবে না। সেক্ষেত্রে সরকারের কোনো ভুল পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।