মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ট্রায়ালে থাকা ভ্যাকসিন দেখাচ্ছে আশার আলো

প্রতিদিন ডেস্ক

ট্রায়ালে থাকা ভ্যাকসিন দেখাচ্ছে আশার আলো

করোনার প্রতিষেধক হিসেবে বিশ্বে যতগুলো ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে তার সবই এখন পর্যন্ত ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এসব ভ্যাকসিনেই আশার আলো দেখছেন। মনে করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই এগুলো বাজারজাত করা সম্ভব হবে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, যে ভ্যাকসিনগুলো ট্রায়ালের শীর্ষে রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যাডক্স১ এনকোভ-১৯, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসভিত্তিক মডার্না ভ্যাকসিন, বেইজিংয়ের সিনোভ্যাক বায়োটেক, ফাইজার ও বায়োএনটেকের  ভ্যাকসিন। এরমধ্যে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের  একদল গবেষক তিন মাসের প্রচেষ্টায় চ্যাডক্স১ এনকোভ-১৯ নামে একটি ভ্যাকসিন  তৈরি করেছেন। নভেল করোনাভাইরাসের দুর্বল প্রজাতির একটি অংশ ও জিন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এ ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিনটি মানবদেহে প্রয়োগ করা হলে সেটি করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন শনাক্ত করবে। অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকিসনটি বর্তমানে ফেইজ-১ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে। কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা যাচাই করার জন্য সুস্থ স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে এটি প্রয়োগ করা হয়েছে। জুনের মাঝামাঝি সময়ের দিকে ক্লিনিক্যাল এই ট্রায়ালের ফল আসতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এলার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দেশটির ম্যাসাচুসেটসের বায়োটেক কোম্পানি মডার্না করোনার আরএনএ ব্যবহার করে একটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। এরই মধ্যে এমআরএনএ-১২৭৩ নামের এই ভ্যাকসিনের  ফেইজ-১ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে এবং ফেইজ-২ ট্রায়ালের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মানুষের শরীরের কোষে এই ভাইরাসটি প্রয়োগের পর মলিকিউলার নির্দেশনা অনুযায়ী ভাইরাল প্রোটিন তৈরি করে। শরীর এই ভাইরাল  প্রোটিন শনাক্ত করার পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি নভেল করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিন বানরের দেহে প্রয়োগে সফলতা পেয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। চীনা বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সিনোভ্যাক বায়োটেক নামের একটি কোম্পানি পিকোভ্যাক নামের এই করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের পর করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে নেওয়া হয় বানরকে। এতে দেখা যায়, সম্ভাব্য এই ভ্যাকসিন বানরের  দেহে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করেছে। বর্তমানে এই ভ্যাকসিনও মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ফাইজার এবং জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক করোনার সম্ভাব্য চারটি আরএনএ ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে। এরই মধ্যে তাদের তৈরি বিএনটি১৬২ নামের একটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মডার্না  কোম্পানির ভ্যাকসিনের মতোই এই ভ্যাকসিনটি আরএনএভিত্তিক। যুক্তরাষ্ট্রে এই ভ্যাকসিনের প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। শিগগিরই দ্বিতীয় দফায় আরও ৩৬০ জনস্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবীর দেহে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হবে।

সর্বশেষ খবর