আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে করোনাকালে ত্রাণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যারা দলীয় পরিচয়ে অনিয়ম করবে তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত আছে।
গতকাল সকালে তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, করোনা সংকটে আওয়ামী লীগ পরিচালিত ত্রাণ কার্যক্রম নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সারা দেশে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি দিচ্ছে আর্থিক ও চিকিৎসা সহায়তা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়স্ক ও অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। করোনা বিস্তার রোধে সরকার চিকিৎসা ক্ষেত্রেও সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় নতুন করে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার প্রথম দিন থেকেই কিছু কিছু দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। গরীব-কর্মহীন ও অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে সরকার লকডাউন শিথিল করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব অনেকেই উপেক্ষা করছেন। দোকানপাট ও ব্যবসা কেন্দ্রিক অনেক জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে না। ফেরিঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ঢল লক্ষ্য করা যায়। এ ধরনের উপেক্ষা প্রকারান্তরে নিজেদের ও আশপাশের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। অর্থাৎ করোনা বিস্তারকে উৎসাহিত করবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে সাফল্যের দাবিদার যে দেশটি দক্ষিণ কোরিয়া, সেখানে দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনার আক্রমণ শুরু হয়েছে। এজন্য কোরিয়া সরকারকে আবারও লকডাউনের পথে যেতে হচ্ছে। বিএনপির বিরুদ্ধে করোনা সংকটে মানুষের পাশে না দাঁড়ানোর অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, দেশ যখন করোনার গ্রাসে বিপর্যস্ত তখন জনগণের প্রত্যাশা ছিল বিএনপি ত্রাণ সাহায্য নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াবে। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের যখন ঈদ শপিং না করে সেই অর্থ অসহায় জনগণের মাঝে বিতরণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তখন বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে ত্রাণের পরিবর্তে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করছে। যা জনগণের দুঃখ-দুর্দশার সঙ্গে উপহাসের শামিল।
