‘করোনাজয়ী’ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চার চিকিৎসক ও দুই স্বাস্থ্যকর্মীসহ ছয়জনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। রবিবার দুপুরে হাসপাতাল চত্বরে তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সহকর্মীরা। এ সময় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শরীফ সাহাবুর রহমান, আরএমও আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ডাক্তার শরীফ সাহাবুর রহমান জানান, গত ২২ এপ্রিল লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডাক্তার খালিদ সাইফুল্লাহ, ডাক্তার শরীফুল ইসলাম, ডাক্তার নাঈমা আলী, ডাক্তার স্যাকমো মুকুল হোসেন ও ইপিআই কর্মী কবির হোসেনের করোনাভাইরাস পজেটিভ হয়। এর দুদিন পর ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট শরিফুল ইসলামও করোনা আক্রান্ত হন। তাদের চিকিৎসা চলাকালীন দুই দফায় খুলনা মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করানো হলে তা নেগেটিভ এসেছে। অর্থাৎ তারা করোনামুক্ত হয়েছেন। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠায় চার চিকিৎসক ও দুই স্বাস্থ্যকর্মীকে ‘করোনাজয়ী’ হিসেবে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। এদিকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্সের স্বামী রিয়াজ হাওলাদার এবং লোহাগড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোজাম খানকেও করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল নড়াইল জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় লোহাগড়া উপজেলাতেই। তবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রথম করোনা রোগী সৈয়দ সুজন (২৫) সুস্থ হয়ে উঠেন। এ পর্যন্ত লোহাগড়া উপজেলায় নয়জন এবং নড়াইল সদরে তিন ডাক্তারসহ চারজন করোনা আক্রান্ত হন। তবে কালিয়া উপজেলায় এখনো পর্যন্ত কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। এক্ষেত্রে নড়াইল জেলায় মোট ১৩ জন করোনা আক্রান্ত হলেও গতকাল সোমবারের (১১ মে) রিপোর্ট অনুযায়ী সবাই সুস্থ হয়েছেন। এরপর নড়াইল জেলায় নতুন কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাক্তার আবদুল মোমেন।