বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

মানুষের হাতে কাজ পেটে ভাত দেওয়ার বাজেট চাই

-সিদ্দিকুর রহমান

মানুষের হাতে কাজ পেটে ভাত দেওয়ার বাজেট চাই

আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে মানুষের হাতে কাজ ও পেটে ভাত দেওয়ার মতো জাতীয় বাজেট দেখতে চান ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে পুরো বিশ্বে। আগামীতে মানুষ কর্মসংস্থান হারাবে। প্রবাসী শ্রমিকরা দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হবেন। অনেকের রেমিটেন্স পাঠানো বন্ধ হয়ে যাবে। এ প্রবাসী শ্রমিকদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাই এবারের বাজেট শ্রমিকের কর্মসংস্থানমুখী হতেই হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আগামী বাজেটে দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের এমন মহামারী থেকে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বা এসএমই খাতের সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তাই বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত সবাইকে এসএমই খাত সচল রাখতে যত সহায়তা প্রয়োজন, তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি কল-কারখানা সচল রাখতে হবে। রপ্তানি খাত বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আশা করছি নীতি প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়গুলো ভুলে যাবেন না।’ তিনি বলেন, চলমান করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশে-বিদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অনেক পোশাকপণ্যের ক্রেতা রপ্তানি অর্ডার বাতিল করছেন। শিপমেন্ট করতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে ইউরোপ-আমেরিকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পুরো বিশ্ব অনিশ্চয়তায় পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী বাজেটের করণীয় নির্ধারণ করতে হবে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে। আগামীতে ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধে কোনো চাপ দেওয়া যাবে না। সিদ্দিকুর রহমান করোনা সংকট মোকাবিলায় এফবিসিসিআইর প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার ও সুষ্ঠু বাস্তবায়নে সমন্বয় রাখা বাঞ্ছনীয়। বর্তমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব পরিবর্তনশীল হওয়ার কারণে অর্থনীতির ওপর প্রভাব অনিশ্চিত। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় অর্থ, বাণিজ্য, শিল্প ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং এফবিসিসিআইর সমন্বয়ে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা যেতে পারে। ৪৫ লাখের বেশি খুচরা দোকানদার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনা তহবিল বিবেচনা ও সংকট উত্তরণে এ তিন প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে হবে।

সর্বশেষ খবর