বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা থাকলে যাত্রীর ফ্লাইট বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফ্লাইটে ওঠার আগে কোনো যাত্রীর গায়ের তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা এর বেশি থাকলে তার যাত্রা বাতিল। গত রবিবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ভবিষ্যতে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করে নিরাপদে বিমান চলাচল করতে যাত্রী, বিমানবন্দর, বিমান সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের ৩৫টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিমান ভাড়া বাড়তে পারে। আবার ভাড়া বাড়লে যাত্রীও হারাতে হতে পারে। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাভাইরাসসহ স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়িয়ে ভবিষ্যতে বিমান চলাচলের জন্য এই গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বেবিচক সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের টার্মিনালে একাধিক ফ্লাইটের যাত্রীরা একসঙ্গে থাকতে পরবেন না। প্রতিটি ফ্লাইটে ওঠার আগে যাত্রীদের বোর্ডিং পাস নেওয়ার পর নির্ধারিত এলাকার মধ্যে থাকতে হবে। সবাইকে মাস্ক ও গ্লাভস পরতে হবে। বিমানবন্দরে আসার আগে এগুলো পরে আসতে হবে। টার্মিনালে ঢোকার পর যাত্রীরা যে বিমানে করে যাবেন, তারাই নতুন গ্লাভস, মাস্ক দেবে। নতুন মাস্ক ও গ্লাভস পরে ফ্লাইটে ওঠার সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে। বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হবে। বেবিচকের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক যাত্রীকে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে। এই ফরমে যাত্রীর নাম, বয়স, লিঙ্গ, জন্মতারিখ, বর্তমান ঠিকানা, এয়ারলাইনসের নাম, ফ্লাইট নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, শরীরের তাপমাত্রা, মোবাইল ও ই-মেইল নম্বর পূরণ করতে হবে। একই সঙ্গে ফরমে তিনটি প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ অথবা ?‘না’ টিক দিয়ে উত্তর দিতে হবে। এক নম্বর প্রশ্নে থাকবে,? ‘আপনার (যাত্রী) কি জ্বর বা কফ হচ্ছে?’ দ্বিতীয় প্রশ্নে থাকবে, ‘আপনার কি জ্বর এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে?’ এবং তৃতীয় প্রশ্নে থাকবে, ‘গত ১৪ দিনে কভিড-১৯ বা এই রোগের কোনো উপসর্গ থাকার কারণে আপনাকে কোনো বিমানবন্দরে বোর্ডিং থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে কি না?’ এ তিনটি প্রশ্নের যে কোনো একটির উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে সেই যাত্রীকে আর ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হবে না। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী ওই যাত্রীকে পরবর্তী চিকিৎসা নিতে হবে। তবে এ তিনটি প্রশ্নের উত্তর ‘না’ হলেও যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হলে তাকে আর ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হবে না। বেবিচকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেড় ঘণ্টার নিচে কোনো ফ্লাইটে পানি ছাড়া খাবার দেওয়া যাবে না। তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের সীমিত আকারে পানি ও জুস দেওয়া হবে। এই নির্দেশনা কার্যকর হলে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটে যাত্রীদের হালকা খাবার পরিবেশন বন্ধ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে বড় উড়োজাহাজের ধারণক্ষমতার সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ এবং  ছোট উড়োজাহাজের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ যাত্রী প্রতিটি ফ্লাইটে থাকবে। এর বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। সার্জিক্যাল মাস্ক অথবা মানসম্মত মাস্ক, ক্যাপ প্রতিটি ফ্লাইটের যাত্রীদের পরা বাধ্যতামূলক। কেবিন ক্রুদের এন-৯৫ মাস্ক, চশমা, রাবারের হ্যান্ড গ্লাভস ও ফেসিয়াল মাস্ক পরতে হবে। হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক প্রতি চার ঘণ্টায় বদলাতে হবে। তাদের ককপিটে প্রবেশ যতটা সম্ভব কমিয়ে ইন্টারকমে যোগাযোগ করতে হবে। ফ্লাইটে দুজন কেবিন ক্রু একসঙ্গে খাবার পরিবেশন করতে পারবেন না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর