বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
জিনোম সিকোয়েন্স উদঘাটন বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের

করোনার গতি-প্রকৃতি ও প্রতিরোধের উপায় খোঁজা হবে সহজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার গতি-প্রকৃতি ও প্রতিরোধের উপায় খোঁজা হবে সহজ

সেঁজুতি সাহা ও সমির কুমার সাহা

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে। আর এই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে সহায়তা করছে বিল অ্যান্ড  মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং চ্যান জুকারবার্গ বায়োহাব ইনিশিয়েটিভ। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আইইডিসিআর এর সহায়তায় এরই মধ্যে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স সম্পন্ন করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিএইচআরএফ)। এবার এই কাজে এগিয়ে এসেছে বিল গেটস ও জুকারবার্গ।

এদিকে বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসের যে জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে, তার সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে ইউরোপের ভাইরাসের। গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে এটি ইউরোপের মতোই মারাত্মক হবে কিনা সেটা জানতে গবেষণা চলছে। খুব শিগগিরই বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের নমুনা থেকে আরও কিছু ভাইরাসের সিকোয়েন্সিং করা হবে। এর ফলে ভাইরাসটির উৎপত্তি, গতি-প্রকৃতি বুঝতে ও প্রতিরোধের উপায় খোঁজা সহজ হবে।

এ বিষয়ে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার বলেন, ফাউন্ডেশনের গবেষক ড. সেঁজুতি সাহার নেতৃত্বে ৮ জনের গবেষক দল করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সের কাজ করেছে। জিনোম সিকোয়েন্স ভাইরাসটির গতি-প্রকৃতি ও ধরন সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার ধারণা দেবে। এর ফলে আমরা জানতে পারব আমাদের এখানে ভাইরাসটি মোকাবিলায় কোনো ধরনের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে।

এ বিষয়ে আইইডিসিআরের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. এ এস এম আলমগীর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসের ১৬ হাজার ৪৫১টি জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে। বাংলাদেশে এবারই প্রথম করা হলো। এতে আমরা জানতে পারব করোনাভাইরাসের তিনটি ধরনের কোনটি আমাদের দেশে রয়েছে। ভাইরাসটির কোনো মিউটেশন হয়েছে কিনা তাও জানা যাবে। ফলে ভ্যাকসিনেশনের সময় আমরা বুঝতে পারব এবং এটি তখন ভূমিকা রাখবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর