শনিবার, ১৬ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনা চাই ১০ শতাংশ হারে

-মোহাম্মদ আলী খোকন

রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনা চাই ১০ শতাংশ হারে

করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত বস্ত্র খাতের জন্য আগামী ছয় মাস রপ্তানি প্রণোদনা ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা চান বস্ত্রশিল্প মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের আগ্রাসী থাবায় সুতা ও কাপড় বিক্রি করতে না পেরে বস্ত্র খাতে তীব্র তারল্য সংকট হয়েছে। টেক্সটাইল মিলগুলো বকেয়া অর্থ আদায় করতে পারছে না। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি সুতা ও কাপড় মজুদ রয়েছে। এ পণ্য বিক্রি করতে না পারায় অর্থ সংকট তীব্র হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন-বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন। তিনি পরিস্থিতি উত্তরণে সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে বলেন, চলতি বছরের ২০ মার্চ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত যে কোনো ধরনের সুতা ও কাপড়ের ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করা হোক। স্থানীয় শিল্প, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য সেবা খাতের ভ্যাটও আগামী ছয় মাস মওকুফ করতে হবে। তিনি বলেন, বিদ্যমান টার্ম লোনের সুদ ছয় মাসের জন্য মওকুফ করতে হবে। উল্লিখিত সময়ের গ্যাস, বিদ্যুৎ বিলের অর্থ পরবর্তী ১২ মাসের সমান কিস্তিতে সুদ, ভ্যাট ও সারচার্জ ছাড়াই পরিশোধের সুযোগ দিতে হবে। টেক্সটাইল ডায়িং ফিনিশিংয়ে ব্যবহারের জন্য সব ধরনের রং রসায়নের ওপর যাবতীয় শুল্ক ও কর প্রদান ছাড়াই আমদানির সুবিধা দিতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরসহ দেশের সব বন্দরে সব ধরনের কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্যের বন্দর অতিরিক্ত ফি মওকুফ করতে হবে।

মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত সুতা ও কাপড়ের মোকামগুলো বন্ধ। বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া। ঈদ ও বৈশাখ উৎসব ঘিরে স্থানীয় টেক্সটাইল মিলগুলোয় প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। দেড় হাজার কোটি টাকার এ বাজারটিও হাতছাড়া হয়ে গেছে।

বিটিএমএ সভাপতি আরও বলেন, করোনাভাইরাসে বড় ধাক্কা লেগেছে দেশের বস্ত্র ও পোশাক শিল্পে। ২৫ এপ্রিল পোশাক কারখানা খুলতে শুরু করেছে। কিন্তু কাজ না থাকায় এখনো বন্ধ ২৫ শতাংশ কারখানা। মেজুড়ে কাজ করার মতো সক্ষমতা আছে ৪৭ শতাংশের। জুনের কাজ আছে শতাধিক কারখানার। মূলত ইউরোপ ও আমেরিকার বেশির ভাগ দেশ লকডাউনে থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে স্থগিত হওয়া অর্ডারগুলো চালু হলে সংকট কিছুটা কেটে যাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও বেশির ভাগ ক্রেতা স্থগিত অর্ডারের বিষয়ে এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না। এমনকি অনেক কারখানার রপ্তানির পরও ঋণপত্রের (এলসি) টাকা আটকে আছে। আমাদের অনেক ছোট কারখানার কোনো কাজ নেই। এসব কারখানার প্রায় সব অর্ডার বাতিল বা স্থগিত।

সর্বশেষ খবর