শনিবার, ১৬ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

মালিকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ হলে আছে সম্ভাবনা

-এ এইচ আসলাম সানী

মালিকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ হলে আছে সম্ভাবনা

পোশাকশিল্প মালিকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ হলে করোনাভাইরাস-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জন্য অপার সম্ভাবনাও আছে বলে মনে করেন বিকেএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি এ এইচ আসলাম সানী। তিনি বলেছেন, বিশ্বের অনেক ক্রেতা চীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাই এখন কোনো মালিকের উচিত হবে না ক্রেতাদের কাছে দাম কমিয়ে বেশি অর্ডার নেওয়া। তবে চলমান সংকটে ঘুরে দাঁড়ানো সহজ হবে না। আগামী বছর ২০ থেকে ২৫ শতাংশ অর্ডার কমে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপের সময় এসব কথা বলেন নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিকেএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি এ এইচ আসলাম সানী। পোশাকশিল্পের সফল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ক্রোনি গ্রুপের এই কর্ণধার বলেন, ইউরোপের দেশগুলো লকডাউন শেষ করে কেবল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলতে শুরু করেছে। তাদের ধকল কাটিয়ে উঠতে লাগবে কমপক্ষে এক বছর। ইউরোপ পুরোপুরি খোলার পর প্রতিক্রিয়া কী হয় তা এখন দেখার বিষয়। তিন মাস পর বোঝা যাবে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়। তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষ আজ করোনোভাইরাসের ভয়ে ঘরে বসে আছে। বহু মানুষ আক্রান্ত। শুধু বাংলাদেশেই নয়, উন্নত দেশগুলোতেই আজ মৃত্যুর মিছিল। ফলে ব্যবসা-ব্যাণিজ্য সবই বন্ধ। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন লকডাউন কখনো হয়েছে কিনা জানা নেই। সব পেশার মানুষ উদ্বিগ্ন। আমি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে যেমন চিন্তিত, তেমন দুশ্চিন্তায় আমার ১৫ হাজার শ্রমিক ও ৪ হাজার মধ্যসারির কর্মী। তাদের জন্য আমি ভীষণ উদ্বিগ্ন। শুধু আমি নই, এ শিল্পের সঙ্গে জড়ির সবার আত্মত্যাগেই আজ বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় রপ্তানিকারক দেশ। তৃতীয় বিশ্বের দেশ হয়ে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে সব সময় অসম প্রতিযোগিতায় পড়তে হয়েছে আমাদের। এই ব্যবসায়ী নেতা আরও বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর মেড ইন বাংলাদেশ যখন রক্তমাখা শার্ট ছিল সব বিশ্বের কাছে; সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে কোনো প্রণোদনা ছাড়া ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে ক্রেতাদের সন্তুষ্টির জন্য ফায়ার অ্যান্ড ইলেকট্রিক সেইফটি বিল্ডিং আজ বিশ্বের কাছে উদাহরণ। আবার আজ যখন বলছি আর্থিক ক্ষতির কথা, তখন তা কারও জানা নেই। সবাই জানে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার বাতিল হয়েছে। এর সঙ্গে শ্রমিক কর্মচারীদের তিন মাসের বেতন, বিদ্যুৎ-গ্যাস, ব্যাংকের সুদ আরও ২ বিলিয়ন পর্যন্ত ক্ষতি হবে। সব মিলে ৬ বিলিয়ন ডলার লোকসান হবে।

 

সর্বশেষ খবর