সোমবার, ১৮ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

স্বাদ-গন্ধ হারিয়ে ফেললেই করোনার রেড অ্যালার্ট

প্রতিদিন ডেস্ক

ব্রিটিশ রিনোলজিক্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট এবং শীর্ষ নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ক্লেয়ার হপকিন্স বিভিন্ন গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, মাথায় আঘাত না পেয়েও বা সর্দিতে নাক বন্ধ না হলেও কেউ যদি হঠাৎ স্বাদ-গন্ধ হারিয়ে ফেলেন, তাহলে তার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তিনি বলেন, ‘গবেষণায় আমরা  দেখেছি অন্য কোনো উপসর্গ ছাড়াই যারা স্বাদ-গন্ধ হারাচ্ছেন, তাদের কভিডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৯৫ শতাংশেরও বেশি।’ সূত্র : বিবিসি বাংলা। প্রফেসর ক্লেয়ার হপকিন্স উল্লেখ করেছেন, জ্বর বা কাশির চেয়েও হঠাৎ স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়া কভিডের আরও ‘বিশ্বাসযোগ্য’ উপসর্গ হতে পারে। স্বাদ-গন্ধ কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখলেই মানুষকে দ্রুত আইসোলেশনে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া উচিত। এ বিষয়ে এর আগে গত ১৯ মার্চেও ব্রিটেনের নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞদের সমিতির পক্ষ থেকে প্রথম একটি প্রেস-বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে বলা হয়েছিল, কভিড রোগীরা স্বাদ-গন্ধ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা বলছেন। প্রফেসর হপকিন্স বলছেন, ‘দুই মাস আগে আমরা শুধু সন্দেহ করছিলাম, কিন্তু এখন এই সন্দেহ প্রমাণ হিসাবে বিবেচনার দাবি রাখে।’ তিনি বলেন, ‘কভিডে আক্রান্ত হলে হঠাৎ করেই রোগীর স্বাদ-গন্ধ চলে  যেতে পারে। সর্দিতে নাক বন্ধ না হলেও এটা ঘটতে পারে। ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একদম শুরুতেই এই উপসর্গ হাজির হতে পারে, অথবা অন্য উপসর্গের সঙ্গে সমান্তরালভাবেও এটি দেখা দিতে পারে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বাদ-গন্ধ নষ্ট হওয়াটাই একমাত্র উপসর্গ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। রোগীরা খেতে পারছেন না।’ প্রফেসর ক্লেয়ার বলছেন, ‘৪০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যাচ্ছে।’ প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বা এনএইচএস শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা এবং ঘন-ঘন কাশিকেই কভিডের অন্যতম প্রধান দুই উপসর্গ হিসাবে বিবেচনা করছে। কিন্তু একের পর এক গবেষণার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে জ্বর বা কাশি শুরুর আগেই তারা স্বাদ-গন্ধ হারিয়ে ফেলছেন।

সর্বশেষ খবর