মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

বিএসএমএমইউতে নমুনা পরীক্ষায় অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্ভোগ আর ভিড়ের মধ্যে সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ‘অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ পদ্ধতি চালু করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে অনলাইনে একটি ফর্ম পূরণ করে নির্ধারিত সময়ে গিয়ে পুরনো বেতার ভবনের নিচতলায় ফিভার ক্লিনিকে সেবা নেওয়া যাবে। দ্বিতীয় তলায় কভিড-১৯ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দিতেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ফিভার ক্লিনিকে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ নমুনা সংগ্রহের সক্ষমতা থাকলেও সেখানে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য জড়ো হন সহস্রাধিক মানুষ। নমুনা পরীক্ষার সিরিয়াল পাওয়ার জন্য রাতেই লাইনে দাঁড়াতে হতো। অনেকেই রাতভর কাগজ বা চাদর বিছিয়ে শুয়ে থাকতেন ফুটপাথে। অসুস্থ শরীরে রোদের মধ্যে রাস্তার পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছিল তাদের। দীর্ঘ সময় অনেক মানুষের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছিল বলে যারা আক্রান্ত নন, তাদেরও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছিল। মানুষের ভোগান্তি লাঘবেই এবার ‘অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ ব্যবস্থা করল কর্তৃপক্ষ। নতুন নিয়মে ফিভার ক্লিনিকে চিকিৎসকের পরামর্শ পেতে হলে আগের দিন অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে। অনলাইনে পাওয়া অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া কেউ সেবা নিতে পারবেন না। বিএসএমএমইউ ওয়েবসাইটে (www.bsmmu.edu.bd) অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্টর নিবন্ধন ফরম পাওয়া যাবে।

সেখানে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রেজিস্ট্রেশনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট মোবাইল ফোন থেকে এসএমএসে সাক্ষাতের সম্ভাব্য সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। ওই সময় অনুযায়ী ফিভার ক্লিনিকে গিয়ে বিএসএমএমইউ পাঠানো এসএমএস দেখিয়ে চিকিৎসাসেবা নেওয়া যাবে। কভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার জন্যও একই পদ্ধতি কার্যকর হবে। কেউ নিবন্ধন করে ফিভার ক্লিনিকে যাওয়ার পর ডাক্তার যদি মনে করেন তার নমুনা পরীক্ষা প্রয়োজন, তাহলে ওই সময়ই তা নিয়ে নেওয়া হবে। আলাদা নিবন্ধন লাগবে না। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক এবং পুলিশ সদস্যরা নির্ধারিত কোটায় পরের দিনের সাক্ষাতের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। যারা বিশেষ কোটায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাবেন, চিকিৎসাসেবা নেওয়ার সময় তাদের পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, এখানে রোগীরা যেভাবে ভিড় করে, তাতে তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। এ ছাড়া সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এ কারণেই আমরা এ পদ্ধতি চালু করেছি। এখন নিবন্ধন ছাড়া যারা আসবেন আমরা হয়তো আগামী এক সপ্তাহ তাদের মধ্যে কিছু মানুষকে সেবা দেব। এরপর যারাই সেবা নেবেন, অনলাইনে নিবন্ধন করে আসতে হবে।

সর্বশেষ খবর