শুক্রবার, ২২ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
ভালো কাজ

লাশ দাফনে ছুটে চলেন তারা

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

লাশ দাফনে ছুটে চলেন তারা

করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত কিংবা উপসর্গ দেখা দিলে কাছেও কেউ যাচ্ছে না। আত্মীয়স্বজনও ফিরিয়ে নিচ্ছে মুখ। সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দাফন-কাফনের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। তবে করোনা উপসর্গ কিংবা স্বাভাবিকভাবে বাড়িতে মারা গেলেও এখন মানুষ আতঙ্কে লাশের কাছে ঘেঁষছে না। লাশ দাফন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী ও মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা গাজী ইয়াকুবের নেতৃত্বে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে গঠিত হয় তাকওয়া ফাউন্ডেশন। সংগঠনের ব্যানারে একদল আলেম সারা দেশে লাশ দাফনে এগিয়ে এসেছে। এখন পর্যন্ত তারা স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে সারা দেশে ৭৭ জনের দাফন সম্পন্ন করেছেন। রাজধানীতে লাশ দাফনের অনুমতির অপেক্ষায় আছেন তারা। মাওলানা গাজী ইয়াকুব বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সারা দেশে আমাদের আলেমরা কাজ করছেন। ঢাকার বাইরে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে করোনা পজিটিভ, সাধারণ মৃত্যু ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিদের এই পর্যন্ত ৭৭টিরও বেশি লাশ দাফন করা হয়েছে। এজন্য প্রায় ৪৮টি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তাকওয়া ফাউন্ডেশনের ব্যানারে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবীদের মাঝে পিপিই, হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। ঢাকায় লাশ দাফনের জন্য অনুমতি পেতে তাকওয়া ফাউন্ডেশন স্বাস্থ্য সচিবের কাছে আবেদন করেও কোনো প্রতি-উত্তর পায়নি। জানা যায়, ঢাকায় সরকারিভাবে শুধু আল-মারকাজুল ইসলামী রহমতে আলম ও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে করোনায় নিহতদের লাশ দাফনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়লে এপ্রিলের শুরুতে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের নেতৃত্বে একদল আলেম লাশ দাফন-কাফনে এগিয়ে আসে। এজন্য আলেমদের নিরাপত্তা পোশাকসহ সব ধরনের সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও করোনা সংক্রমণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লিফলেট, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে ঢাকার বিভিন্ন থানায় আইনশৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত গাড়ি, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, মসজিদ-মন্দির, রিকশা, অ্যাম্বুলেন্স, সেনাবাহিনীর গাড়িতে করোনা প্রতিরোধে মেশিন দিয়ে ¯েপ্র করা হয়। মাওলানা গাজী ইয়াকুব বলেন, তাকওয়া ফাউন্ডেশনের এই সেবার পরিধি ও মান বাড়ানোর জন্য আমাদের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা আমাদের নিজস্ব ট্রান্সপোর্ট সুবিধা নেই। দেশের সাধারণ মানুষ ও আলেম সমাজ স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে তাকওয়া ফাউন্ডেশনকে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন।

 

সর্বশেষ খবর