শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

পানিতে দাঁড়িয়ে ঈদের জামাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

পানিতে দাঁড়িয়ে ঈদের জামাত

অন্য রকম এক ঈদের জামাত দেখল আম্ফানে বিধ্বস্ত উপকূলের মানুষ। ঈদের দিন সোমবার সকালে খুলনার কয়রায় হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করল প্রায় পাঁচ হাজার গ্রামবাসী। ২নং কয়রায় বাঁধের পাশে পানিতে অনুষ্ঠিত একাংশের নামাজে ইমামতি করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ খ ম তমিজ উদ্দিন। এদিকে পানিতে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায়ের এ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়। পক্ষে-বিপক্ষে নানা রকম মন্তব্যে বিষয়টিকে রাজনৈতিক আখ্যা দেওয়া হয়। পানিতে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়ের ঘটনাকে সরকারের ইমেজ ক্ষুণœ করতে জামায়াতিদের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ। তিনি বলেন, ‘যিনি ওই জামাতে ইমামতি করেছেন, তিনি কয়রা জামায়াতের আমির। দুদিন আগে থেকেই ওই স্থানে ঈদের নামাজ পড়ানো হবে বলে প্রচার করা হয়। আর যিনি ওই ছবি তুলে ফেসবুকে প্রচার করেছেন তিনি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিবিরের কর্মী। সাজানো এই ঘটনা প্রচার করে দেশ-বিদেশে ধর্মপ্রাণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।’ তবে কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের পর লবণপানি মুক্ত করতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ বাঁধ মেরামতে কাজ করছেন। বাঁধের কাছাকাছি থাকা ঈদগার ওপরেও দেড় ফুট পানি ছিল। এ কারণে বাঁধ নির্মাণ কাজে যারা এসেছিলেন, তারাই বাঁধের পাশে পানিতে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ পড়েছেন। এখানে রাজনীতির কোনো বিষয় নেই।’ অপরদিকে পানিতে নামাজ পড়ার এ ঘটনা আলোচিত-সমালোচিত হলে প্রকৃত ঘটনা জানতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা বলেন, ঈদ জামাতের বিষয় নিয়ে গঠন করা তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার ২নং কয়রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ও পানির মধ্যে ঈদ জামাতে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

সর্বশেষ খবর