শনিবার, ৩০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

লাশ রেখে গেল স্বজনরা, দাফন করল পুলিশ

নরসিংদী প্রতিনিধি

শ্বাসকষ্ট নিয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে এক নারীর মৃত্যুর পর করোনা সন্দেহে স্বজনরা লাশ না নেওয়ায় পুলিশের তত্ত্বাবধানে তাকে দাফন করা হয়েছে। গতকাল নরসিংদী পৌর কবরস্থানে ফেরদৌসী বেগম নামে ২৭ বছর বয়সী ওই নারীকে দাফন করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ফেরদৌসি বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার খালা গ্রামের মালদ্বীপ প্রবাসী আল আমিনের স্ত্রী। সে নরসিংদী              পৌরসভার সালিধা এলাকার হাসানের বাড়িতে ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। পুলিশ জানায়, ফেরদৌসি বেগম বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ মাথা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে জেনে মৃত  ফেরদৌসি বেগমের স্বামীর বাড়ি ও বাবার বাড়ির লোকজন ফেরদৌসীর মরদেহ বুঝে নিচ্ছিলেন না। বিষয়টি পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের নজরে এলে তিনি নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  সৈয়দুজ্জামানকে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার দুপুরে নরসিংদী পৌর কবরস্থানে পুলিশের সদস্যরা ওই নারীর মরদেহ দাফন করেন। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দুজ্জামান বলেন, বৈশ্যিক মহামারীতে মানুষের মধ্যে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। স্ত্রী মারা গেলে স্বামী লাশ নেয় না। মৃত্যর পর স্বজনরা লাশ গ্রহন করেনা বিষয়টি ভাবা যায়,কতটা অমানবিক। যেখানে যন বেশি অমানবিকতা,সেখানেই পুলিশের মানবতা। সেই মানবতা বোধ থেকেই পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে আমরা দাফন কাফন সম্পর্ন করি।  জেলা পুলিশের মিডিয়া সমন্বয়ক ও পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার বলেন, করোনার কারণে অতি আপনজনও লাশের পাশে আসেনি, কিন্তু মানবতার কারণে পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা কবর  খোঁড়া থেকে শুরু করে ওই নারীর মরদেহ দাফন করেন।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. শামীম জানান, দাফনের আগে ফেরদৌসির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলাফল হাতে পেলে বোঝা যাবে, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন কি না।

সর্বশেষ খবর