সোমবার, ১ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

যুবককে হত্যা করে লাশ গুম

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে নিখোঁজের চার দিন পর গতকাল সকালে সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার চাচিকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত মো. জিয়াউল হক (৩০) উপজেলার দক্ষিণ শাকতলী গ্রামের হুমায়ন কবিরের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত জিয়া ও তার আপন চাচা বাছির উদ্দিন বাহরাইনে একইসঙ্গে কাজ করতেন। দুই বছর আগে বাড়িতে এসে চাচা বাছির উদ্দিনের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন জিয়া। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বাড়ি আসেন চাচা বাছির। এরপরও পরকীয়া আসক্তি কমাতে না পেরে চাচির ওপর জবরদস্তি করতে থাকেন জিয়া। একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে জিয়াকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন চাচি। সুযোগ বুঝে ঈদের পরদিন সন্ধ্যায় চাচি জিয়াকে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে তার শয়নকক্ষে নিয়ে রাত ১১টার সময় জিয়ার অ-কোষ চেপে ধরে ও পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। তারপর স্বামী বাছিরের সহযোগিতায় লাশ সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখেন। এ ঘটনায় নিহতের চাচিকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে চাচা পলাতক রয়েছেন। নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ জিয়াউল হকের সন্ধান চেয়ে থানায় ডায়রি করা হয়। এর সূত্র ধরে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে জিয়ার আপন চাচির সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এর জের ধরে জিয়াকে হত্যা করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জিয়াকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন তার চাচি। স্বামী বাছিরকে নিয়ে পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাঙ্কিতে লাশ গুম করার কথাও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর