বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

প্লাজমা থেরাপি নাসিমকে গলাব্যথা কাশি বেড়েছে জাফরুল্লাহর

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে তাকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মনোয়ারুল সাদিক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে গলাব্যথা ও কাশি বেড়েছে করোনায় আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর। তিনি বলেন, শ্বাসকষ্ট কিছুটা আছে। এখন খাবারেও কিছু রুচি আসছে। তবে গলাব্যথা ও কাশি বেড়েছে। গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। তবে আমার স্ত্রী ও পুত্রের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তারা বাসায় আছে, আমি গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছি।  
মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ডা. মনোয়ারুল সাদিক বলেন, গত সোমবার দুপুর থেকে তিনি (মোহাম্মদ নাসিম) শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছেন। সোমবার রাতেই আইসিইউতে রেখে তার প্রথম প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়। তারপর অবস্থার উন্নতির দিকে যায়। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। গতকাল তাকে আরও একবার প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেডিকেল থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে থেরাপি দেওয়া হয়েছে। এখনো তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। প্রতি মিনিটে তার পাঁচ থেকে ছয় লিটার করে অক্সিজেন দেওয়া লাগছে। গত সোমবার শরীরে নিউমোনিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দুপুরের পরই তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। রাতে পরীক্ষার ফল আসে ‘করোনা পজিটিভ’। ওই দিন মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘এমনিতেই আব্বুর শারীরিক অবস্থা ভালো নয়, নানা সমস্যা নিয়ে আছেন। নিউমোনিয়া সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় জরুরি ভিক্তিতে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে ভর্তি করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, জরুরি দরকার হলে সিএমএইচে নিয়ে যাব। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সিএমএইচে কথা বলে রেখেছেন।
গলাব্যথা ও কাশি বেড়েছে ডা. জাফরুল্লাহর : গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনে আলাপচারিতায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তার গলাব্যথা ও কাশি বেড়েছে। তিনি যখন কথা বলছিলেন, তখনো কাশছিলেন। তবে তার মনোবল অনেক শক্ত ছিল। আলাপচারিতায় তিনি বলেন, করোনা চিকিৎসা নিয়ে কোনো সমন্বয় এখনো হয়নি। চিকিৎসক, নার্সসহ যারা এ নিয়ে কাজ করছে তাদের মনোবল বাড়াতে হবে। সরকারকেই এটা করতে হবে। এখনো শুনি, চিকিৎসক, নার্সরা পালিয়ে যাচ্ছে। রোগীও পালিয়ে যাচ্ছে। এটা হতে পারে না। সব পক্ষকেই আস্থায় এনে চিকিৎসা সেবা দিতে হবে। সরকারকে ১৯৮২ সালের ওষুধ নীতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি সরকারকে এ আহ্বান জানান। স্ত্রী-পুত্রসহ তিনি নিজেও করোনা আক্রান্ত। স্ত্রী-পুত্র ধানমন্ডির বাসায় থাকলেও নগর গণস্বাস্ব্য হাসপাতালে অবস্থান করছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বর্তমানে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চরম হতাশা ব্যক্ত করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, যেভাবে ওষুধের লাগামহীন দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে জনগণের গলা কাটা হবে। এটা জাতি দেখতে চায় না। সরকার ১৯৮২ সালের ওষুধ নীতি বাস্তবায়ন করলে ওষুধের দাম এভাবে বাড়ানো সম্ভব হতো না। অবিলম্বে সরকারকে ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত।

সর্বশেষ খবর