শিরোনাম
শনিবার, ৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

আক্রান্ত বেশি তরুণরা বেশি মৃত্যু বয়স্কদের

আইইডিসিআরের তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে তিন মাসের কম সময়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ-যুবকরা। সেই তুলনায় ষাটোর্ধ্ব মানুষের আক্রান্তের হার চারগুণ কম। তবে আক্রান্ত কম হলেও সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ষাটোর্ধ্বদেরই।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ওয়েবসাইটে গতকাল দেওয়া হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী এখন পর্যন্ত সারা দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬০ হাজার ৩৯১ জনের। এর মধ্যে শতকরা ২৭ দশমিক ৬০ ভাগই ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী। এরপরই ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের আক্রান্তের হার ২৭ দশমিক ১০ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৭ দশমিক ৩০ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১১ দশমিক ২০ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ, ষাটোর্ধ্ব ৬ দশমিক ৭ শতাংশ ও ১ থেকে ১০ বছরের শিশু ২ দশমিক ৯০ শতাংশ। এই হিসাবে তরুণ-যুবকদের আক্রান্তের হার ষাটোর্ধ্বদের চেয়ে চারগুণের বেশি। এ ছাড়া আক্রান্তের ৭১ শতাংশই পুরুষ। ২৯ শতাংশ নারী। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত করোনায় ৮১১ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি (৩৯ শতাংশ) মৃত্যু ষাটোর্ধ্বদের। সবচেয়ে কম (দশমিক ৮২ শতাংশ) মৃত্যু ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের। অন্যদিকে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ-যুবকদের মৃত্যুর হার ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে (২৯ দশমিক ৬০ শতাংশ) আছে ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা। এ নিয়ে একাধিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বললে একই ধরনের মত দেন তারা। চিকিৎসকদের মতে, তরুণ-যুবকরা সবচেয়ে বেশি বাইরে থাকে। ২১ থেকে ৩০ বছরের তরুণ-যুবকদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী বা সবে কর্মজীবনে প্রবেশ করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিসপাড়া বন্ধ থাকার পরও লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় প্রচুর তরুণ-তরুণীকে দেখা গেছে, এখনো যাচ্ছে। এ কারণেই তাদের মধ্যে আক্রান্তের হার বেশি। তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় তরুণদের মধ্যে মৃত্যুর হার কম। তবে এই আক্রান্ত তরুণদের থেকে যখন বাড়ির কোনো বৃদ্ধ আক্রান্ত হচ্ছেন, তিনি মৃত্যুঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছেন। কারণ, বয়স্কদের এমনিতেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। এ ছাড়া বার্ধক্যজনিত নানা স্বাস্থ্য সমস্যা তাদের আগে থেকেই থাকে।

সর্বশেষ খবর