শনিবার, ৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা থেকে মুক্তি পেতে মসজিদে মসজিদে দোয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা থেকে মুক্তি পেতে মসজিদে মসজিদে দোয়া

করোনা পরিস্থিতিতেও বৃষ্টি উপেক্ষা করে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজে শরিক হয়েছেন অনেক মুসল্লি। গতকাল বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজের জামাতে এ চিত্র দেখা গেছে। জুমার জামাতের নির্ধারিত সময়ের আগেই মুসল্লিতে পূর্ণ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে মসজিদের দক্ষিণ, উত্তর ও পূর্ব পাশে মসজিদের বাইরে পানির মধ্যেও নামাজ আদায় করেন তারা। অধিকাংশ মুসল্লিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মুখে মাস্ক পরে নামাজ  পড়তে দেখা গেছে। এক কাতার ফাঁকা রাখার কথা থাকলেও মুসল্লি বেশি হওয়ায় ফাঁকা কাতারে দাঁড়িয়ে যান অনেকেই। নামাজে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান।

করোনাভাইরাস থেকে জাতিকে রক্ষার জন্য রাজধানীসহ সারা দেশের মসজিদে জুমার নামাজের পর বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুতবায় ইমামরা মহামারীতে জীবন রক্ষায় মানুষের করণীয় সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের নির্দেশনা তুলে ধরেন। এ পরিস্থিতিতে আশপাশের অভাবী ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জুমার খুতবায় আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে গণজমায়েত এড়িয়ে চলে করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মোনাজাতে মহামারী থেকে রক্ষা পেতে মহান আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে ফরিয়াদ জানিয়েছেন।

দুপুর সাড়ে ১২টায় বায়তুল মোকাররমে আজান হয়। এরপরই মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশ করতে গেট খুলে দেওয়া হয়। হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার ও জীবাণুনাশক কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর মুসল্লিরা লাইনে দাঁড়িয়ে মসজিদে প্রবেশ করেন। পৌনে ১টায় বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম ও হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান বাংলায় বয়ান শুরু করেন। বয়ানে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব আজ বিপদগ্রস্ত। আমরাও এর বাইরে না। সবাই কঠিন সময় পার করছে। আল্লাহ যেন আমাদের এ বিপদ থেকে মুক্ত রাখেন। করোনা থেকে মুক্তি দেন। এজন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। একমাত্র তিনিই পারেন এ বিপদ থেকে মুক্তি দিতে। আমাদের সব পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চাইতে হবে। আমাদের আশপাশে যারা অভাবী, বিপদগ্রস্ত আছেন তাদের পাশে দাঁড়াব। তাদের সাহায্য, সহযোগিতা করব। শর্তসাপেক্ষে নামাজ পড়তে মসজিদ খুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই শর্তগুলো যথাযথভাবে মেনে মসজিদে নামাজ আদায় করব। ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব রোধে চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি। জুমার নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশবাসী, বিশ্ববাসীর জন্য করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করা হয়।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার ৬ এপ্রিল থেকে মসজিদে জুমা ও পাঞ্জেগানা নামাজে সাধারণ মুসল্লিদের অংশ নেওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়। একই সঙ্গে ২৩ এপ্রিল তারাবির নামাজে ১২ জনের বেশি মুসল্লি অংশ নিতে পারবে না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর ৭ মে জোহর থেকে ১২টি শর্ত দিয়ে মুসল্লিদের মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের সুযোগ প্রদান করে।

সর্বশেষ খবর