শনিবার, ৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

লকডাউনের ঈদেও সড়কে প্রাণ গেছে ১৬৮ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের কারণে পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় বন্ধ ছিল গণপরিবহন। এমন লকডাউনের মধ্যেও ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ও কর্মস্থলে যাতায়াতে ১৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২৮৩ জন। তবে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সম্মিলিতভাবে ১৫৬টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৮৫ জন। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সড়ক দুর্ঘটনার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

প্রতিবেদন উপস্থাপন করে সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনাগুলো বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩৫.৭৪ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৮.৯৮ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-লরি, ১২.০৭ শতাংশ কার-মাইক্রো-জিপ, ৮.২১ শতাংশ অটোরিকশা, ৭.৭২ শতাংশ ব্যাটারি রিকশা-ইজিবাইক-ভ্যান-সাইকেল, ৬.২৮ শতাংশ নছিমন-করিমন-ট্রাক্টর-লেগুনা-মাহিন্দ্রা ও ০.৯৭ শতাংশ বাস এসব দুর্ঘটনায় জড়িত। এর মধ্যে ২৪.১৬ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৩৮.২৫ শতাংশ পথচারীকে গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৭.৫১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা, ৯.৪০ শতাংশ অন্যান্য অজ্ঞাত কারণে ও ০.৬৮ শতাংশ রেল-যানবাহন সংঘর্ষে দুর্ঘটনা সংঘটিত

হয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনার কারণে এ বছর গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঈদযাত্রা সীমিত ছিল ব্যক্তিগত পরিবহনে। তারপরও ঈদের আগে-পরে সড়ক দুর্ঘটনা ছিল অতীতের তুলনায় বেশি। বিগত ১৯ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ১৩ দিনে ১৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৮ জন নিহত ও ২৮৩ জন আহত হয়েছেন। উল্লেখিত সময়ে রেলপথে ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের একটি ঘঁনায় কোনো হতাহত হয়নি। একই সময়ে নৌ-পথে ছয়টি ছোট-বড় বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত ও ৪৫ জন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। এ সময় সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ২৫ মে, এ দিনে ২০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হন। সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩০.২০ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৪৭.৬৫ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ১৮.১২ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়।

সর্বশেষ খবর