দেশে গত তিন মাসে বজ্রপাতে ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে কেবল এপ্রিলেই মারা গেছেন ৭০ জন। মে মাসে ৬০ জন। গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ করে এ তথ্য পেয়েছে ডিজাস্টার ফোরাম।
গত কয়েক বছর ধরে বজ্রপাতের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মাঠে কাজ করার সময় প্রাণ হারাচ্ছেন কৃষক। প্রতিবছর মার্চ থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত দেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। ডিজাস্টার ফোরামের তথ্য মতে, ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ মে পর্যন্ত বজ্রপাতে ৭৩ জন মারা যান, আহত হন ২৮ জন। ২০১৮ সালে বজ্রপাতে নিহতের ঘটনা ঘটে ২৭৭টি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণের কোনো উপায় নেই। তবে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে নিরাপদ থাকা যায়। বজ্রপাত আটকাতে পারে তালগাছ। তবে তালগাছ বড় হতে অন্তত দুই দশক সময় লাগে। সে পর্যন্ত মৃত্যুর মিছিল বাড়বে। ফলে সেই দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের ভিতর একটি আশু সমাধানের রাস্তা বের করে মৃত্যুহার কমানো যায়। বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে লাইটেনিং এরেসটার লাগিয়ে নিরাপদ বলয় তৈরি করা সম্ভব। নেপাল তা করেছে। এবং তারা মৃত্যু কমাতে পেরেছে। এছাড়া বজ্রঝড় কখন হয়, কীভাবে চেনা যায় এবং এ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করতে হবে।