রবিবার, ৭ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের জন্য ১১০০ কোটি টাকা প্রণোদনা

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

যেসব ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণসুবিধা প্রাপ্তির জন্য যোগ্য নয়, সেসব ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের উদ্যোক্তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য ১১০০ কোটি টাকা চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। দুটি সংস্থার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিল্পের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের এই ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে। এর মধ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের জন্য ৫০০ কোটি টাকা ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক)-এর জন্য ৬০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব  (বিরাষ্ট্রীয়করণ ও বেসরকারি খাত) মো. হেলাল উদ্দিন, এনডিসি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘গত এপ্রিলে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়ার পর আমরা সম্প্রতি অর্থ বিভাগকে নতুন করে তাগাদা দিয়েছি, যাতে সংস্থা দুটির নামে দ্রুত অর্থ ছাড় করা হয়।’ শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা জানান, ‘দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প খাত। এই শিল্পের সঙ্গে লাখ লাখ মানুষের আয়-রোজগারের বিষয়টি জড়িত। অতি ক্ষুদ্র  এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত লোকজনের বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন এই সংকটকালে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৯ সালের জরিপ অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ৪৬ হাজার ২৯১টি উৎপাদন ইউনিটের মধ্যে ৮৭ শতাংশই ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প। বর্তমানে দেশের উৎপাদন খাতের ৩৩ শতাংশ উৎপাদন করে থাকে ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প এবং এ শিল্পের সঙ্গে ১৩ লাখ ৯১ হাজার শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত রয়েছেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে সহায়তার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা সুবিধা ঘোষণা করেছে সরকার। এই প্রণোদনা কার্যকর করার বিষয়ে ‘এসএমই খাত উজ্জীবন সংক্রান্ত কমিটি’ একটি সভা করে। ওই সভায় জানানো হয়, বর্তমানে এসএমই খাতের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ উদ্যোক্তার ব্যাংকের গ্রাহক বা ঋণগ্রহীতা। ব্যাংকগুলো প্রণোদনা দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব গ্রাহককে অগ্রাধিকার দেবে। কিন্তু এর বাইরে সারা দেশের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের হাজার হাজার উদ্যোক্তার বিষয়টি উঠে আসে যারা ব্যাংকের গ্রাহক না হওয়ায় বা জামানত না থাকায় ঘোষিত প্রণোদনা থেকে সুবিধা পাবেন না। এ অবস্থায় সিদ্ধান্ত হয় ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা যারা ব্যাংকিং সুবিধায় প্রণোদনা পাবেন না, তাদের নিজ নিজ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের।

সর্বশেষ খবর