রবিবার, ৭ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
কৃষি

বায়োফ্লকে মাছ চাষ সফলতা চুয়াডাঙ্গায়

জামান আখতার, চুয়াডাঙ্গা

বায়োফ্লকে মাছ চাষ সফলতা চুয়াডাঙ্গায়

পুকুর বা খাল-বিলে নয়; আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি করা ট্যাংকিতে মাছ চাষ হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। নতুন এই বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গার হাতিকাটা গ্রামের শিক্ষিত তরুণ শাওন জোয়ার্দ্দার। জেলার আরেক তরুণ উদ্যোক্তা শাওনের হাত ধরে এ পদ্ধতির মাছ চাষে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। অল্প জায়গায় বেশি পরিমাণে মূল্যবান মাছ চাষের ফলে অধিক লাভের আশা করছেন শাওন। তার সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই এগিয়ে আসছে এ চাষে। উদ্যোক্তা শাওন জোয়ার্দ্দার জানান, ঢাকায় বিবিএ পড়ার সময় ইউটিউবে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের ভিডিও দেখে আগ্রহ জন্মায় তার মনে। এর পর লেখাপড়ার পাশাপাশি বায়োফ্লক সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। গ্রহণ করেন প্রশিক্ষণ। তার নিজ গ্রামে শুরু করেন বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ।

শাওন আরও জানান, দেশীয় প্রজাতির শিং, কৈ, মাগুর, ট্যাংরা, পাবদাসহ বেশ কিছু মূল্যবান মাছের চাষ হচ্ছে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে। এতে বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছের উৎপাদন আবারও বাড়তে শুরু করেছে। বাজারেও তুলনামূলক কম মূল্যেই পাওয়া যাচ্ছে এসব মাছ। শাওনের পিতা মহসিন জোয়ার্দ্দার জানান, ১ হাজার কেজি মাছ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ট্যাংকি প্রস্তুত করতে ব্যয় হয় ৩৫/৪০ হাজার টাকা। মাছের পোনাসহ আনুসঙ্গিক খরচ হয় আরও প্রায় ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু একটি ট্যাংকি থেকে চার মাসে প্রায় ১ লাখ টাকা লাভ করা সম্ভব। পরবর্তীতে যেহেতু ট্যাংকির খরচ লাগে না সে হিসেবে পরবর্তীতে লাভের পরিমাণ আরও বাড়ে।

শাওনের সহযোগী ফরহাদ জোয়ার্দ্দার জানান, শাওনের দেখাদেখি এলাকার অনেক তরুণ বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই জেলার কয়েক তরুণ শাওনের সহযোগিতায় মাছ চাষ শুরু করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন জানান, বায়োফ্লক পদ্ধতির মাছ চাষে আগ্রহীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

সর্বশেষ খবর