মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

রং বেরঙের ঘুড়ি আকাশে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

রং বেরঙের ঘুড়ি আকাশে

করোনা সংকটে দেশজুড়ে যখন আতংক বিরাজ করছে, তখন নেত্রকোনায় ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠেছেন নানা বয়সীরা। শিশু, তরুণ, যুবা এমনকি মাঝবয়সীরাও বাদ যাননি। দিন-রাত আকাশে শোভা পাচ্ছে নানা রঙের ডিজিটাল ঘুড়ি। বিশেষ করে রাতের আকাশে এসব ঝলমলে ঘুড়ি দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনার ভয় উপেক্ষা করেই দিনে রাতে ছোট-বড় নানা বয়সী ঘুড়িপ্রেমী মেতেছেন এই উৎসবে। করোনাকালে কিশোর, যুবকদের বাজারবিমুখ করতে প্রথমে বিনা পারিশ্রমিকে অসংখ্য ঘুড়ি বানিয়ে দেন জেলা সদরের চা বিক্রেতা শান্তু মিয়া। বর্তমানে এই ঘুড়ির চাহিদা বাড়ায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় প্রতিটি ঘুড়ি কিনছেন আগ্রহীরা। প্রতিদিন আকাশে দিন থেকে রাত অব্দি উড়ছে এসব ডিজিটাল রঙ্গিন ঘুড়ি।

নেত্রকোনা সদর উপজেলার লক্ষ্মীগঞ্জ ইউনিয়নের গদাইকান্দি গ্রামের চা বিক্রেতা শান্ত মিয়া বলেন, করোনা মোকাবিলায় লকডাউন চলাকালে তিনি শিশু-কিশোরদের বাজারবিমুখ করে বাড়িতে রাখতে নিজ হাতে একটি ডিজিটাল ঘুড়ি বানিয়ে দেন। মাস্টার্স পড়ুয়া ছেলে মোবারকের ঘুড়ি আকাশে উড়তে দেখে স্থানীয় অনেকেই শান্তু মিয়ার বাড়িতে এসে বায়না করে ঘুড়ি বানিয়ে দিতে। এরপর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পরে রঙিন ঘুড়ি উড়ানো উৎসব। করোনা সময়ে কিশোর যুবকদের বাজারবিমুখ করতে প্রথমে বিনা পারিশ্রমিকেই ডুল ঘুড়ি, ঘর-ঘুড়িসহ বিভিন্ন নামের অসংখ্য ঘুড়ি বানিয়ে দিয়েছেন শান্তু মিয়া। বর্তমানে জেলার মদনপুরসহ বেশ কয়েকজন ঘুড়ি বানানোর ব্যবসা করছেন। আর এই ঘুড়ি বানাতে এখন ৪ থেকে ৫০০ টাকার মতো খরচ হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম-গঞ্জে ছোট-বড় সব বয়সীই মেতেছেন এই উৎসবে। এগুলো দেখে এই করোনা সময়ের মাঝেও কিছুটা বিনোদন উপভোগ করে মুগ্ধ হচ্ছেন স্থানীয়রা। প্রথম ডিজিটাল ঘুড়ির প্রবর্তক শান্তু মিয়া জানান, এ পর্যন্ত তিনি একাই বানিয়েছেন তিন শতাধিক ঘুড়ি। মূল উদ্দেশ্যই ছিল লকডাউন। এই করোনাকালে ঘরেও থাকলাম সময়ও কাটল। এখন দেখছি মানুষ এটিতে ভীষণ মজা পেয়ে গেছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর