মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

রোগীদের চিকিৎসা না মেলায় হাই কোর্টের উষ্মা প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই সময়ে দেশে রোগীরা এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল ঘুরে-ঘুরে চিকিৎসা না পাওয়ার ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছে হাই কোর্ট।

একই সঙ্গে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কতগুলো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) আছে, সেগুলো কীভাবে বণ্টন হয়- তার তথ্য জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে শয্যা (বেড) ব্যবস্থাপনা কী আছে, তা মনিটরিংয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং এক্ষেত্রে হটলাইন কীভাবে কাজ করে তারও তথ্য জানতে চেয়েছে আদালত। এ ছাড়া করোনা রোগীর জন্য সারা দেশে কতটি আইসিইউ ও বেড বরাদ্দ করা হয়েছে তারও তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। রাষ্ট্রপক্ষকে এসব তথ্য ১০ জুনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওই দিনই এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ সরকারের অধীনে অধিগ্রহণ করা এবং কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ‘সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো’ গঠন করার নির্দেশনা চেয়ে গত রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. শেখ আল মামুন হাই কোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনে স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা সচিব, ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকসহ ৬ জনকে বিবাদী করা হয়।

গতকাল ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আদেশ দেওয়া হয়। আদালতে রিট আবেদনকারী পক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি করেন আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

শুনানিতে আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন হাসপাতাল বেড না থাকার অজুহাতে রোগী ফিরিয়ে দিচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত ও প্রচারিত হচ্ছে। ফলে বিনা চিকিৎসায় রোগী মারা যাচ্ছে। এ কারণে দেশের সব হাসপাতালের বেড যাতে সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করা যায় সেজন্য কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ‘সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো’ গঠন করার নির্দেশনা চেয়েছি আদালতের কাছে। এ বিষয়ে ভারতের কলকাতা হাই কোর্টের রায় আছে। তিনি বলেন, এ ধরনের কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা থাকলে কোন হাসপাতালে কতটা বেড খালি আছে তা মুহূর্তের মধ্যে জানা যাবে। ফলে কোনো হাসপাতালই রোগী ফিরিয়ে দিতে পারবে না। জবাবে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায়, কোন হাসপাতালে বেড খালি আছে তা জানার জন্য সরকারের একটি হটলাইন রয়েছে। সেখানে ফোন করলেই সব জানা যায়। সুতরাং বেড না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় রোগী মারা যাবার সুযোগ নেই।

সর্বশেষ খবর