বুধবার, ১০ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

কোনো শ্রমিকের বেতন সংকট থাকার কথা নয়

---- মাতলুব আহমাদ

 কোনো শ্রমিকের বেতন সংকট থাকার কথা নয়

এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মাতলুব আহমাদ বলেছেন, গার্মেন্ট খাত নিয়ে নানা ধরনের সংকটের কথা বলা হচ্ছে। সরকার যেভাবে এগিয়ে এসেছে তাতে এত সংকট থাকার কথা নয়। মালিকরা শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছেন না, প্রণোদনা পাচ্ছেন না এটাও হওয়ার কথা নয়। এ জন্য গামেন্টশিল্পে প্রকৃত অবস্থা বুঝতে ইন্সপেকশন করতে হবে। শ্রমিকদের বেতনের জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আলাদা অর্থ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। কেউ পাননি এমনটা আমি জানি না। সবাই পেয়েছেন। ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল পেতে যে যোগ্যতা থাকতে হবে সেটি যদি না থাকে, সে ক্ষেত্রে হয়তো সমস্যা আছে। তবে সার্বিক বিবেচনায় বলা যায়, গার্মেন্ট খাতে এখন পর্যন্ত সঠিকভাবেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সব সংকট কাটাতে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মাতলুব আহমাদ বলেন, গার্মেন্ট খাতের প্রকৃত চিত্র অতটা খারাপ নয়। কিছু ক্যাজুয়াল প্রতিষ্ঠান আছে, যারা ব্যাংক ঋণ নিয়ে শোধ করেনি। ব্যবসা বন্ধ করে রেখেছিল বা নিজের মতো করে চলেছে। তারা সরকারি প্রণোদনা হয়তো পায়নি। তাদের পাওয়ার যোগ্যতা যদি একেবারেই না থাকে তাহলে হবে না। যারা রেগুলার ব্যবসায়ী তারা সবাই সরকারি প্রণোদনার সুবিধা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের জন্য সময় লাগবে। এ কারণে একটি ঋণ আবেদন বোর্ড অনুমোদনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। এ ঋণের এক বছরের অর্ধেক সুদ সরকার বহন করবে। এখন অনেকে ফিরে এসেছেন, যারা ব্যবসাই ঠিকমতো করতেন না বা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ফেরত দেননি। তারাও সুবিধা পাওয়ার আশায় সক্রিয় হয়ে উঠছেন। তাদের তো প্রণোদনা ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা নেই। তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ২ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে একটি সমস্যা ছিল, অনেকের ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন নেই। সে জন্য আমরা বলেছি, অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানকে যৌথভাবে আবেদন করতে। তাদের অনেকে আবেদন করেছে। সবাই সুবিধা পাবে।’ মাতলুব আহমাদ বলেন, এখন শ্রমিক ছাঁটাইয়ের যে কথা হচ্ছে সেটি বাস্তবতা। এই কঠিন সময়ে যদি কেউ ছাঁটাই হয়েও থাকেন, সেটি খুবই সাময়িক। যুক্তরাষ্ট্র প্রায় চার মিলিয়ন শ্রমিক ছাঁটাই করেছে। আমাদের দেশে তেমনটি হয়নি। মাত্র প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্বব্যাপী। দ্রুত এ সংকট কেটে যাবে। যারা ছাঁটাই হবেন তারা আবারও কাজে যোগ দিতে পারবেন। যে প্রতিষ্ঠান চলতে পারবে না, তাদের ছাঁটাই করা ছাড়া তো উপায় নেই।’

সর্বশেষ খবর