শিরোনাম
শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

পূর্ব রাজাবাজারে দ্বিতীয় দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পূর্ব রাজাবাজারে দ্বিতীয় দিন

পূর্ব রাজাবাজারে গেট ডিঙ্গিয়ে আসা-যাওয়া করছেন অনেকেই -রোহেত রাজীব

রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে গতকাল দ্বিতীয়দিনের মতো কঠোরভাবে পালন হয়েছে লকডাউন। এতে পাল্টে গেছে এলাকার চিত্র। প্রথমদিনের মতো গতকালও মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। রিকশার জট আর মানুষের উপস্থিতিতে যে এলাকা সবসময় রমরমা হয়ে থাকত, সেই এলাকা এখন খাঁ খাঁ করছে। রাস্তায় নেই মানুষের কোলাহল, যানবাহনের ছুটে চলা। লকডাউন কঠোরভাবে পালনে টহলে আছে সেনাবাহিনী। মাঠে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ আর ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে পূর্ব রাজাবাজার এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই এলাকায় কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বের হতেও দেওয়া হচ্ছে না। এলাকার কর্মহীন, অসহায় ও দুস্থ ৩ হাজার মানুষের একটি তালিকা করা হয়েছে। তাদের ডিএনসিসি থেকে ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করা হবে। এছাড়া অন্যরা অনলাইনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পণ্য  কেনাকাটা করতে পারবেন। প্রশিক্ষিতরা বাসায় সেসব নিত্যপণ্য পৌঁছে দিচ্ছেন। কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার ঘনত্ব বেশি হওয়ার কারণে এই এলাকায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পূর্ব রাজাবাজারের আটটি প্রবেশপথের মধ্যে শুধু আইবিএ হোস্টেলের পাশেরটি খোলা রয়েছে। কিন্তু সেই গেট দিয়েও সাধারণ মানুষকে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। এই এলাকায় প্রায় ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন কাউন্সিলরের নির্দেশে। এর আগে গত ৮ জুন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবিলার লক্ষ্যে ডিএনসিসি এলাকার জন্য গঠিত কমিটির এক অনলাইন সভায় পূর্ব রাজাবাজার লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরেজমিন দেখা যায়, পূর্ব রাজাবাজারের নাজনীন স্কুলের গলি, গীর্জা গলি, ইন্দিরা রোড মসজিদ গলি, বৌবাজার গলি, পূর্ব রাজাবাজারের সঙ্গে পশ্চিম রাজাবাজারের সংযোগ গলি, আলিফ অ্যাম্বুলেন্স গলি, ডা. কবির চৌধুরী চেম্বার গলি এবং তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসের পাশের গলি ছিল বন্ধ। সাধারণ যান চলাচল ও ফার্মেসি ছাড়া দোকানপাট ছিল বন্ধ। সেনা ও পুলিশের টহল ছিল সড়কে। জরুরি প্রয়োজনে শুধু নাজনীন স্কুলের গলি দিয়ে চলাচলের সুযোগ দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানেও ছিল পুলিশের কঠোর অবস্থান।

সর্বশেষ খবর