শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

বিমানের চার্টার্ড ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা দিল জাপান

১৬ জুন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চার্টার্ড ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাপান। করোনাভাইরাসের নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়েও চার বাংলাদেশির শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। সম্প্রতি এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির সরকার।

জানা গেছে, সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চার্টার্ড ফ্লাইটে জাপান যান অনেক বাংলাদেশি। কভিড-১৯  নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করেন তারা। কিন্তু তা সত্ত্বেও জাপানে যাওয়ার পর চার বাংলাদেশির কভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। ফলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে জাপান। এ চার বাংলাদেশির হেলথ সার্টিফিকেটে বলা ছিল, তারা করোনায় আক্রান্ত নন এবং তাদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা নেই। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম  মোকাব্বির হোসেন বলেন, জাপানে যাওয়া চারজন বাংলাদেশি কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় কভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। তারপরই সে দেশের কর্তৃপক্ষ বিমানের বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক বলেন, কিছু যাত্রীর জালিয়াতির কারণে জাপান এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। সূত্র জানায়, জাপানের সিভিল অ্যাভিয়েশন ব্যুরো ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি শর্তে চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছিল। তাদের শর্ত ছিল, চার্টার্ড ফ্লাইটের যাত্রীদের অবশ্যই হেলথ সার্টিফিকেট থাকতে হবে যাতে এটা নিশ্চিত হওয়া যায় যে তারা করোনায় আক্রান্ত নন। সেই সঙ্গে যাত্রীদের মধ্যে উপসর্গও থাকা যাবে না। গত ২৯ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ বিমান জাপান ও ঢাকার মধ্যে চারটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া ১২ বাংলাদেশি যাত্রীর করোনা শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। অথচ তাদের কাছে যে হেলথ সার্টিফিকেট ছিল, তাতে বলা হয়েছিল যে তারা করোনায় আক্রান্ত নন। দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান  কোনো বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা না করায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সামনে আসেনি। বিমানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাপানের সিভিল অ্যাভিয়েশন ব্যুরো ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি শর্তে চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছিল। তাদের শর্ত ছিল, চার্টার্ড ফ্লাইটের যাত্রীদের অবশ্যই হেলথ সার্টিফিকেট থাকতে হবে যাতে এটা নিশ্চিত হওয়া যায়  যে তারা করোনায় আক্রান্ত নন। সেই সঙ্গে যাত্রীদের মধ্যে করোনার উপসর্গও থাকা চলবে না। ১৬ জুন চালু হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট : প্রায় ৮৬ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ১৬ জুন থেকে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ফ্লাইট চলবে কাতার ও যুক্তরাজ্যে। গতকাল বৃহস্পতিবার ফ্লাইট চালুর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে  বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল অ্যাভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানান, আপাতত যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও কাতারে যাবে ফ্লাইট। যদিও কাতারে  কোনো যাত্রী প্রবেশ করতে পারবেন না। অন্যদেশে যাওয়ার ট্রানজিট হিসেবে সেখানকার বিমানবন্দর ব্যবহার করবে কাতার এয়ারওয়েজ। তবে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হলেও ফ্লাইট পরিচালনা করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত  নেবে এয়ারলাইন্সগুলো। এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মার্চের শেষ দিকে চীন ছাড়া সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় সিভিল অ্যাভিয়েশন। প্রায় আড়াই মাস বন্ধ রাখার পর ১ জুন থেকে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিতের ৩৫টি নির্দেশনা জারি করে ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। প্রাথমিকভাবে শুধু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চালু করা হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর