শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

ড. নীনা স্টেট অডিটর জেনারেলের প্রাইমারিতে জয়ী

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

ড. নীনা স্টেট অডিটর জেনারেলের প্রাইমারিতে জয়ী

মার্কিন রাজনীতিতে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের উত্থানের ক্ষেত্রে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ড. নীনা আহমেদ। পেনসিলভেনিয়া স্টেট অডিটর জেনারেল পদে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী মনোনয়নের নির্বাচনে (প্রাইমারি) নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৬৭ হাজারের অধিক ভোটের ব্যবধানে ধরাশায়ী করেছেন ড. নীনা। ২ জুন অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনের ভোট গণনা এখনো শেষ হয়নি। তবে ১০ জুন রাতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, যে ভোটে তিনি এগিয়ে রয়েছেন, তার সমপরিমাণের ভোট গণনার বাইরে নেই। তাই ওই ভোটের সবগুলোও যদি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পিটসবার্গ সিটি কম্পট্রোলার মাইকেল ল্যাম্ব পেয়ে যান (যা কখনই সম্ভব নয়। কারণ, সেখানে আরও প্রার্থী রয়েছেন) তবুও ড. নীনার ধারেকাছেও আসতে পারবেন না। উল্লেখ্য, ড. নীনার ভোটব্যাংক হচ্ছে ফিলাডেলফিয়া সিটি এবং সংলগ্ন এলাকা। সেখানকার গণনাও হয়নি। এ অবস্থায় প্রবাসীরা লকডাউনের মধ্যেই উল্লাস শুরু করেছেন। কারণ, পেনসিলভেনিয়া স্টেটে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যে কজন নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন তার অন্যতম হবেন ড. নীনা এবং এই স্টেটের ২৩৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম একজন অশ্বেতাঙ্গ মহিলা এবং বাদামি রঙের ইমিগ্র্যান্ট বিপুল ভোটে জয়লাভ করলেন। বাংলাদেশের সন্তান ড. নীনা ২১ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়া থেকে পিএইচডি করেন রসায়নে এবং কৃতিত্বের সঙ্গে মেডিকেল ফেলোশিপ করেছেন থমাস জেফারসন ইউনিভার্সিটি থেকে।

সেই থেকেই তিনি পেনসিলভেনিয়া স্টেটের ফিলাডেলফিয়া সিটি সংলগ্ন এলাকায় বাস করছেন সপরিবারে। অভিবাসীদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে মাঠে রয়েছেন ৩২ বছরেরও বেশি সময়। এর ফলে তৃণমূলে জোরদার একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে ড. নীনার সঙ্গে। এর আগে তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এশিয়া আমেরিকানবিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে। এসব কারণে পেনসিলভেনিয়ার মতো বিশাল একটি স্টেটে তার ব্যাপক পরিচিতি ঘটেছে। এর আগের নির্বাচনে এই স্টেটের লে. গভর্নর নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়ে ১৮৪ হাজার ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন তিনি। সেই জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করেই এবার অডিটর জেনারেল পদে দলীয় মনোনয়নের পথ সুগম হলো। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার মধ্য দিয়েই ৩ নভেম্বরের মূল নির্বাচনে বিজয়ী হবেন ড. নীনা। কারণ, এটি হচ্ছে ডেমোক্র্যাটদের এলাকা। ড. নীনার এ বিজয়কে প্রবাসীরা অভিনন্দিত করেছেন। কারণ, স্টেটভিত্তিক কোনো নির্বাচনে এর আগে আর কোনো বাংলাদেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাননি।

সর্বশেষ খবর