শনিবার, ১৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

কাল্পনিক বাজেট ঘোষণা হয়েছে

---- ইব্রাহিম খালেদ

কাল্পনিক বাজেট ঘোষণা হয়েছে

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেছেন, প্রদর্শন করার উচ্চাক্সক্ষা নিয়ে বাজেট ঘোষিত হয়েছে। এটা কোনোভাবেই বাস্তবায়নযোগ্য নয়। একটি কাল্পনিক বাজেট দেওয়া হয়েছে। সংকটকালীন এ সময় সাধারণ মানুষের উপযোগী যে বাজেট হওয়া উচিত ছিল সেটি না করে প্রবৃদ্ধির উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। যাতে সাধারণ মানুষের ওপর আরও বেশি চাপ বাড়বে। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, সাড়ে পাঁচ লাখ কোটি টাকার বেশি বাজেটের ঘাটতি প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা। জনতুষ্টির দৃষ্টি ফেরাতে বিভিন্ন খাতে প্রচুর বরাদ্দ রাখা হয়েছে। করোনাকালীন এই পরিস্থিতির মধ্যে কোনোভাবেই এই টাকার সংস্থান করা যাবে না। দুঃসময়ে এমন বাজেট প্রণয়ন করা উচিত হয়নি। যেহেতু ব্যবসা-বাণিজ্যসহ শিল্প উৎপাদন বন্ধ প্রায়। আয়কর, অগ্রিম কর, শুল্ক কর আদায় অনেক কমে যাবে। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা কোনোভাবেই অর্জন সম্ভব হবে না। এ ছাড়া প্রায় দুই লাখ কোটি টাকার ঘাটতির মধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেবে ৮৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীলতা বেসরকারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বেসরকারি খাত ঋণ না পেলে এই দুঃসময়ের বড় সংকট কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না। অর্থ সংস্থানের যেসব কথা বলা হয়েছে তার পুরোটাই কাল্পনিক। এমনকি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াও অবাস্তব। ইব্রাহিম খালেদ বলেন, আমাদের হাসপাতালগুলোতে রোগীরা জায়গা পাচ্ছে না। যে দুরবস্থা তৈরি হয়েছে তাই স্বাস্থ্য খাতে অধিক বরাদ্দ রাখা উচিত ছিল। যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেটা অপ্রতুল। কারণ আগের বছরের তুলনায় খুব বেশি বাড়েনি। ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে এটা একটি ভালো দিক। তবে অবকাঠামোসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি খাতে বরাদ্দ আরও বেশি প্রয়োজন ছিল। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে নজর দিয়ে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এটাও ভালো দিক বাজেটে। তিনি আরও বলেন, ঘাটতি মোকাবিলায় বৈদেশিক ঋণ জোগাড় করায় সচেষ্ট হতে হবে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবির ঋণ নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর