শনিবার, ১৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
করোনা সংক্রমণ রোধ

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৬ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীসহ সারা দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সরকারের অনুমোদনক্রমে ৬ দফা নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৬১ নম্বর আইন) এর সংশ্লিষ্ট ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া ৬ দফা নির্দেশনা হলো- ১. করোনাভাইরাসের চলমান ঝুঁকি বিবেচনায় বাংলাদেশের যে কোনো ছোট বা বড় এলাকাকে লাল, হলুদ ও সবুজ হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে। বাংলাদেশ রিক্স জোন-বেইজড কভিড-১৯ কনটেইনমেন্ট ইমপ্লিমেন্টেশন স্ট্র্যাটেজি/গাইড অনুসরণ করে বাস্তবায়ন করতে হবে। ২. প্রাথমিকভাবে অবিলম্বে ৩টি জেলায় (গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী) এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রাজাবাজার এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ারীতে পরীক্ষামূলকভাবে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হবে। জোন সুনির্দিষ্টভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার কোনো অংশে কার্যকর হবে এবং এর পরিধি কী হবে তার প্রয়োজন অনুসারে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে। ৩. বাংলাদেশ রিক্স জোন- বেইজড কভিড-১৯ কনটেইনমেন্ট ইমপ্লিমেন্টেশন স্ট্র্যাটেজি বা গাইড অনুসারে স্বাস্থ্য অধিদফতরে একটি কেন্দ্রীয় কারিগরি গ্রুপ গঠন করবে। এ কমিটি জোনিং সিস্টেমের সঙ্গে পর্যালোচনা করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে পর্যালোচনা করে জোনিং সিস্টেমের সংজ্ঞা ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পরিবর্তন করার পরামর্শ দেবে। পরিবর্তিত স্ট্র্যাটেজি/গাইড সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হবে। সবসময় হালনাগাদ স্ট্র্যাটেজি/গাইড অনুসরণ করে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন করতে হবে। ৪. আইনের ৩০ ধারা অনুসারে সংশ্লিষ্ট জেলা সিভিল সার্জনের কাছে জোনিং ঘোষণার ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সিভিল প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা ও সশস্ত্র বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় জোনিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন। ৫. বিদ্যমান নতুন এলাকায় জোনিং সিস্টেম প্রস্তাব বা পরিবর্তনের জন্য প্রতিটি সিটি করপোরেশন পৌরসভা জেলা ও উপজেলায় স্থানীয় কমিটি থাকবে। করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটিগুলো এই দায়িত্ব পালন করতে পারবে। কমিটির জোনিং সিস্টেমের হালনাগাদ সংজ্ঞা ও বাস্তবায়ন কৌশল অনুযায়ী অব্যাহতভাবে স্থানীয় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে এবং জোনিং সিস্টেম চালু করতে হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতামত চাইবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর কেন্দ্রীয় কারিগরি গ্রুপের মতামত সাপেক্ষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করবে। ৬. বাস্তবায়নাধীন জোনিং এলাকায় কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলাচল/ছুটি/দায়িত্ব পালন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদফতর, পরিদফতর, দফতর ও প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে বলে আদেশে বলা হয়।

সর্বশেষ খবর