শনিবার, ১৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

বেড়েছে শাক-সবজি মাছ-মুরগির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেড়েছে শাক-সবজি মাছ-মুরগির দাম

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে শাক-সবজি ও মাছ-মুরগির। সবজিভেদে কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। কেজিতে ১০-৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি রয়েছে মাছের দাম। চড়া রয়েছে মুরগির বাজারও। কেজিতে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি এখনো বিভিন্ন মুরগির দাম। তবে দাম কমেছে আদা, রসুন ও পিয়াজের। আর অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, চাল, ডাল, ডিম, আলু, তেল, লবণ, চিনিসহ অন্য পণ্যের দাম। গতকাল রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও, শান্তিনগর, মতিঝিল, ফকিরাপুল বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। বাজারে সবজির বাড়তি দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে ভিন্ন মত। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে সবজির ঘাটতি না থাকলেও বেশি মুনাফার আশায় ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে অনেক সবজির সিজন না, তাছাড়া বাজারে সবজির সংকট থাকায় বাড়তি দাম রয়েছে পাইকার বাজারে। এ বিষয়ে ওবায়েদ নামে খিলগাঁও বাজারের এক ক্রেতা বলেন, এখন বাজারে সবজির কোনো ঘাটতি নেই কিন্তু দাম বেশি। সিজন না অথচ সব রকম সবজি বাজারে আছে এ অবস্থায় বেশি মুনাফার আশায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম রাখছেন। তবে এ ক্রেতার সঙ্গে একমত নন মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা আবদুল জলিল। তিনি বলেন, বর্তমানে অনেক সবজির সিজন না হওয়ায় সেগুলোর বাড়তি দাম রয়েছে পাইকারি বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি রয়েছে সবজির দাম। কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এসব এলাকার বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫৫ টাকা, ঝিঙা-চিচিঙা-ধন্দুল ৪০-৬০ টাকা, কাকরোল ৬০-৭০ টাকা, করলা ও উচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি টমেটো (প্রকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, কচুরলতি ৫০-৬০ টাকা, বেগুন ৪০-৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। এসব বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০-৬০০ টাকায়, মহিশের মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, বকরি ৭৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। গরু-খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে মুরগির বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি রয়েছে। কেজিতে ২০-২৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে প্রতিকেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকা কেজি দরে, কেজিতে ২০ টাকা থেকে বেড়ে প্রতিকেজি লেয়ার ২২০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৯০ টাকা কেজিদরে। কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, প্রতিকেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে। দাম বাড়তি রয়েছে মাছের বাজারেও। এসব বাজারে দাম বেড়ে প্রতিকেজি কাঁচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪২০ টাকা দরে, মলা ৪০০-৪৫০ টাকা, ছোট পুটি (তাজা) ৫৫০-৬০০ টাকা, ছোট পুটি ৩০০-৪০০ টাজা, টেংরা মাছ (তাজা) প্রতিকেজি ৭০০-৮০০ টাকা, দেশি টেংরা ৫০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে। প্রতিকেজি শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৫৫০ টাকা, পাবদা ৩২০-৫৫০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৪০০-৭০০ টাকা, বাগদা ৫৫০-১০০০ টাকা, হরিণা ৪০০-৫৪০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩৫০-৫৫০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২০০-৩২০ টাকা, পাঙাস ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকা, কৈ ১৮০-২০০ টাকা, কাতল ২০০-৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। মুরগির দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত আছে ডিমের দাম। বর্তমানে প্রতি ডজন লাল ডিম (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা, দেশি মুরগি ১৪০-১৫০ টাকা, সোনালি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০, হাঁস ১১৫-১২৫  টাকা, কোয়েল প্রতি ১০০ পিস ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম কমেছে পিয়াজ, আদা ও রসুনের। কেজিতে পাঁচ টাকা কমে এসব বাজারে প্রতিকেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা, প্রতিকেজিতে ২০ টাকা কমে প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। কেজিতে ১০-২০ টাকা কমে প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ১৪০-১৫০ টাকা দরে। অপরিবর্তিত আছে ভোজ্যতেলের বাজার। এসব বাজারে খোলা সয়াবিন (লাল) বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০৫ টাকা লিটার, খোলা (সাদা) সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা লিটার। খোলা সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার। চালের দামও অপরিবর্তিত। বর্তমানে প্রতিকেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৮ টাকা কেজি, মিনিকেট পুরান ৬০ টাকা, বাসমতি ৬০-৬২ টাকা, প্রতিকেজি আউশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা, এক সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, পাইজাম ৪০ টাকা, প্রতিকেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা দরে। প্রতিকেজি ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, এঙ্কর ৫০ টাকা, প্রতিকেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, মসুর (মোটা) ৮০ টাকা দরে।

সর্বশেষ খবর