বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে লবণ পানি প্রজাতির কুমির পিলপিল ৪৪টি ডিম দিয়েছে। গতকাল বিকালে কেন্দ্রের কুমির প্রকল্পের পুকুরপাড়ে ডিম দেয় কুমিরটি। এর আগে গত ২৯ মে অপর কুমির জুলিয়েটও ৫২টি ডিম দিয়েছিল। সুন্দরবনের চাঁদপই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ কবির জানান, বিকালে কুমির প্রকল্পের পুকুরপাড়ে পিলপিল ৪৪টি ডিম পাড়ে। এরপর ডিমগুলো সংগ্রহ করে তার মধ্য থেকে ২১টি ডিম বাচ্চা ফুটানোর জন্য পিলপিলের ডিম পাড়ার বাসায় এবং ১২টি পুরাতন ইনকিউবেটরে, আর ১১টি নতুন ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে। আগামী ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে এ ডিমগুলো থেকে বাচ্চা ফুটে বের হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩ বছর জুলিয়েট ও পিলপিলের ডিম থেকে কোনো বাচ্চা জন্ম নেয়নি। তাই রোমিও নামের বয়স্ক পুরষ কুমিরকে সরিয়ে এক বছর আগে জুলিয়েট ও পিলপিলের সঙ্গে একই পুকুরে রাখা হয় আলেকজান্ডার নামে নতুন একটি যুবক কুমিরকে। এবার এই কুমির প্রজনন কেন্দ্রে দুটি কুমিরের ডিম থেকেই বাচ্ছা ফুটবে বলে আশা করছে বন বিভাগ। বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বর্তমানে করমজলের কুমির প্রজনন কেন্দ্রে বর্তমানে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ১৯৫টি কুমির রয়েছে। এর মধ্যে জুলিয়েট ও পিলপিল নামের দুটি নারী কুমির এবং আলেকজান্ডার নামে একটি পুরুষ কুমির দিয়ে করমজলে কুমিরের প্রজনন কার্যক্রম চলছে। মূলত সুন্দরবনে বিলুপ্তপ্রায় লবণ পানির প্রজাতির কুমিরের প্রজনন ও বংশবিস্তারের লক্ষ্যেই ২০০০ সালে করমজলে এই কুমির প্রজনন কেন্দ্রটি চালু করে বন বিভাগ।