শিরোনাম
রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

সৌদিতে আটকে পড়াদের আনতে বিশেষ ফ্লাইট

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার কারণে যেসব বাংলাদেশি সৌদি আরবে আটকে আছেন, তাদের দেশে ফেরাতে বিমানের দুটি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে সৌদি দূতাবাস। আগামী ২০ তারিখ রিয়াদ থেকে একটি এবং ১ জুলাই জেদ্দা থেকে আরেকটি ফ্লাইট ঢাকার পথে রওনা হবে।

যারা দেশে ফিরতে আগ্রহী তাদের দূতাবাসের ওয়েবসাইটের একটি লিঙ্কে গিয়ে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের মহামারীতে সৌদি আরবসহ প্রায় সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের অনেকে দেশে ফিরতে চাইলেও পারছেন না। এই সংকটকালে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশিদের ফেরাতে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান। যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ কিংবা পারিবারিক জরুরি প্রয়োজনে ফিরতে চান কিংবা যারা চূড়ান্তভাবে দেশে ফিরতে চাইছেন, তাদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটের এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ।

তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে প্রায় ২১ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করেন। অনেকেই জরুরি পারিবারিক প্রয়োজনে দেশে ফিরতে চান, অনেক অসুস্থ প্রবাসী রয়েছেন, এখানকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অনেক ছাত্র দেশে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন, অনেকে ভিজিট ভিসায় এসে দেশে ফিরে যেতে পারছেন না। আমরা সবার কথা ভেবে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা যারা দূতাবাসের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন, শুধু তারাই এই ফ্লাইটে ভ্রমণ করতে পারবেন। যাত্রীরা সৌদি আরবের বাংলাদেশ বিমানের নির্দিষ্ট অফিস থেকে টিকিট কিনবেন।’

নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই নিবন্ধন সম্পন্ন হবে। নিবন্ধনকারীদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে ফোন করে রিয়াদের জন্য ৪০০ জন ও জেদ্দার জন্য ৪০০ জন প্রবাসীকে টিকিট ক্রয়ের জন্য নির্দিষ্ট সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে অন্যদের ক্রমানুসারে ফোন করা হবে।

বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ রিয়াদ-ঢাকা একমুখী যাত্রার টিকিটের মূল্য ইকোনমি ক্লাস ২৮০০ সৌদি রিয়াল ও বিজনেস ক্লাস ৩৮০০ সৌদি রিয়াল নির্ধারণ করেছে। জেদ্দা-ঢাকা বিমানের একমুখী যাত্রার টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ইকোনমি ক্লাসের জন্য ৩০৩০ সৌদি রিয়াল ও বিজনেস ক্লাস ৪০৩০ সৌদি রিয়াল।

এই ফ্লাইটে টিকিট কিনতে হলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন বা কোনো উপসর্গ নেই- সৌদি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত এমন সার্টিফিকেট প্রত্যেক যাত্রীকে অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। ঢাকায় অবতরণের পর বিমানবন্দরে তা জমা দিতে হবে। প্রত্যেক যাত্রীকে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস পরাসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর