রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা চিকিৎসায় প্রস্তুত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লকটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) সুবিধা-সমৃদ্ধ এ কেবিন ব্লকে দুই শতাধিক রোগীকে ভর্তি ও চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব হবে বলে জানায় বিএসএমএমইউ কর্তপক্ষ। বর্তমানে হাসপাতালের প্রস্তুতির কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আশা করা হচ্ছে এক সপ্তাহের মধ্যেই এটি করোনা চিকিৎসার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হবে। বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় কেবিন ব্লকটি করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড থাকবে। এর মাধ্যমে দুই শতাধিক করোনা রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা যাবে। ডা. বড়ুয়া বলেন, ‘হাসপাতালে এতদিন রোগী ভর্তি করা না হলেও শাহবাগের বেতার ভবনে ফিভার ক্লিনিকে ইতিমধ্যেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪০ জন রোগীকে সেখানে কোয়ারান্টাইনে রেখে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। বিএসএমএমইউ সূত্রে জানা যায়, গত ১ মার্চ শাহবাগের বেতার ভবনে ফিভার ক্লিনিক চালু হয়। ১১ জুন পর্যন্ত ক্লিনিকে ১৭ হাজার ৩৫৬ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। একই ভবনের দ্বিতীয় তলায় গত ১ এপ্রিল চালু হওয়া করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ ল্যাবরেটরি চালু হয়। এ পর্যন্ত ল্যাবরেটরিতে ১৯ হাজারেরও বেশি নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ এই হাসপাতালে এতদিন করোনা রোগীদের সরাসরি ভর্তি ও চিকিৎসা করা হতো না। ফলে খোদ বিএসএমএমইউর চিকিৎসকরাও হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা সেবা পাননি। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, সরকারি নির্দেশনা না থাকায় তারা এতদিন রোগী ভর্তি করেননি। তাছাড়া করোনা রোগীদের বিশেষায়িত সেবা প্রদানের জন্য প্রস্তুতির দরকার আছে। কিন্তু সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পর হাসপাতালের কেবিন ব্লকটি করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে অব্যাহতভাবে করোনাভাইরাস আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শনাক্তকরণ ও ভর্তি হওয়ার জন্য ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় রাজধানীসহ সারা দেশে সুনির্দিষ্টভাবে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বেশ কিছু হাসপাতাল ডেডিকেটেড হিসেবে চিহ্নিত করে দিলেও এখনো বেশকিছু হাসপাতালে রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ বেশি হওয়ায় সরকারি হাসপাতালের ওপর চাপ বাড়ছে।

 

সর্বশেষ খবর